রাজশাহীর আকাশে ঘুড়ি ওড়াতে বিমানের মানা


বিশেষ প্রতিবেদক :

লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে ঘুড়ি উড়ানোতে মেতেছিল রাজশাহীবাসী। বন্দিদশার জীবনে খানিকটা আনন্দ এনেছিল ঘুড়ি। তবে এবার সেই ঘুড়ি নিয়েই বিপত্তির কথা জানিয়েছে শাহমখদুম বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, আকাশে উড়ানো ঘুড়ির কারণে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে উড়ছে এখানকার প্রশিক্ষণ বিমানগুলো।

রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বিকেল হলেই নানা বয়সের মানুষ অনেকটা উৎসবে মত করে উড়াচ্ছেন ঘুড়ি। আর এসব ঘুড়ির পাশ দিয়েই চক্কর দিচ্ছে প্রশিক্ষণ বিমান।

তবে এই পরিস্থিতিতে জনগণকে সচেতন করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এলাকাজুড়ে বেশ কয়েকবার মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু যারা ঘুড়ি উড়াচ্ছেন তারা বিষয়টি মোটেও আমলে নেন নি। তবে সিভিল এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইং জোনে ঘুড়ি উড়ানো বন্ধ না হলে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

বিমানবন্দরের পাশের এলাকা পবা উপজেলার মধুসূদন পুর গ্রামের আতিকুর রহমান জানান, বিমান বন্দর এলাকায় ঘুড়ি উড়ানো যাবে না এমনটা শুনেছি। তবে আমাদের এই এলাকাতে উড়ানো যাবে না তা জানা নেই।

শাহমুখদুম বিমান বন্দরের ম্যানেজার সেতাফুর রহমান ইউনিভার্সাল নিউজ – কে জানান, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে শাহমখদুম বিমান বন্দরে সব ধরণের বিমান উঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ইতোমধ্যে এই বিমান বন্দর থেকে দুইটি ফ্লাইং একাডেমি তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। কিন্তু আকাশজুড়ে উড়ানো ঘুড়ির কারণে অনেকটা ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু ঘুড়ি অনেকটা উপরে ফ্লাইং রুটে উড়ছে এমনটা চলতে থাকলে ঘুড়ির ও সুতার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকছে। তাই আমাদের চাইছি ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ হোক। তিনি আরও জানান, আমরা ঘুড়ি উড়ানো বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকাজুড়ে মাইকিং করেছি। তবে সেটি উপেক্ষা করে এখনও ঘুড়ি উড়ানো অব্যাহত রয়েছে’।


শর্টলিংকঃ