রাবিতে সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন: আদালতে মামলা


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।। এনিয়ে রাজশাহী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মো. শাহরিয়ার পারভেজ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত বিভাগে নতুন সভাপতির যোগদানের বিষয়ে অন্তঃর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।

সহযোগি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতি নিয়োগের চিঠি। ছবি: সংগৃহিত

তবে আদালতের ওই নির্দেশনা অমান্য করেই বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিভাগে যোগ দিয়েছেন নতুন সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম। এনিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন অনুষদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।

জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আইন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামকে প্রেষণে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে স্বপদে ও স্ব-বেতনে স্থানান্তর করা হলো এবং ২৫ এপ্রিল থেকে তিন বছরের জন্য ওই বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো।’

তবে চিঠিটি আইন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে পাঠালে শিক্ষকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং অনুষদের শিক্ষকরা দাবি করেন- সভাপতি পদে ড. রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ পরিপন্থী বলেও দাবি করেন তারা।

সহযোগি অধ্যাপক শাহরিয়ার পারভেজের মামলার কপি। ছবি: সংগৃহিত

এদিকে, আদালতে দায়েরকৃত মামলায় ড. শাহরিয়ার পারভেজ উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১০ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগি অধ্যাপক হন। পরে ২০১৬ সালে ৪৬৬তম সিন্ডিকেট সভার ৫৯তম সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে আইন বিভাগ হতে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে স্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হয়।

তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাকে বাদ দিয়ে আইন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে ড. শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, বে-আইনি আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এরই প্রেক্ষিতে সভাপতি নিয়োগে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছেন আদালত।

তবে সভাপতি নিয়োগের প্রক্রিয়াটি আইনসম্মত বলে দাবি করেছেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপাচার্য প্রথমে আমাকে আইন বিভাগ থেকে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে প্রেষণে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. এমএ বারীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।


শর্টলিংকঃ