শৈত্যপ্রবাহের ধকল কাটছে না রাজশাহীতে


নিজস্ব প্রতিবেদক:

শৈত্যপ্রবাহের ধকল কাটছে না রাজশাহীতে। টানা চারদিন ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষের পাশাপাশি এখন পশু-পাখিরাও শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে রাজশাহীসহ সারাদেশের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। এর পরের পাঁচদিন আবার বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম।তিনি বলেন, সকাল ৮টার পর থেকে আর তাপমাত্রা কমেনি। ফলে এটিই আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এক প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তবে ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ফলে শনিবার তাপমাত্রা বাড়লো শীতের প্রকোপ কমেনি। এর ওপর রোববার আবারও তাপমাত্রা এক লাফে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে এক অঙ্কের ঘরে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া রোববারও সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এতে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।

টানা শৈত্যপ্রবাহের ও ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তাপ থাকছে না। তাই হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন শহরের পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষ। দিন-রাত সমানতালে বইছে হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস। এতে রাতে খোলা জায়গায় থাকা মানুষগুলোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন কম্বল বিতরণ শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন শীতার্ত মানুষরা।


শর্টলিংকঃ