স্টোনহেঞ্জ রহস্য উন্মোচন!


ইউএনভি ডেস্কঃ

রহস্যে ঘেরা স্টোনহেঞ্জ। ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে এই প্রাচীন স্থাপত্যকর্ম দীর্ঘকাল ধরে মানুষকে আকর্ষণ করে চলেছে। স্টোনহেঞ্জ হলো জ্যামিতিক আকারে সাজানো কিছু বিশালাকার পাথরের সেই স্তম্ভ। সেগুলো দেখলেই মনে প্রশ্ন জাগে, কারা এই স্টোনহেঞ্জ তৈরি করেছিল?

কীভাবে আর কেনই বা তৈরি করেছিল এটি? সব প্রশ্নের উত্তর জানা না গেলেও স্টোনহেঞ্জ রহস্যের একটি দিক উন্মোচিত হয়েছে। জানা গেছে, এর পাথরগুলোর উৎস সম্পর্কে। এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন এরই মধ্যে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, জিওকেমিক্যাল পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, স্টোনহেঞ্জের বির্বণ হয়ে পড়া ৫২টি ধূসর রংয়ের বিশাল আকারের পাথরের মধ্যে ৫০টির উৎসই এক। সার্সেন নামে পরিচিত এসব পাথর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূূরের ওয়েস্ট উড এলাকা থেকে আনা হয়েছে। ইংল্যন্ডের উইল্টশায়ারের মার্লবোরো ডাউন এলাকার প্রান্তেই অবস্থিত ওই ওয়েস্ট উড। সার্সেন পাথরগুলো প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে স্থাপন করা হয়। সবচেয়ে বড় পাথরটি ৩০ ফুট লম্বা। আর সবচেয়ে ভারি পাথরটির ওজন প্রায় ৩০ টন।

যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, বেশ কয়েকটি ট্রিলিথন হর্সশো রয়েছে। ট্রিলিথন আসলে তিনটি পাথরের নির্দিষ্ট একটি বিন্যাস। এক্ষেত্রে দুটি খাড়া পাথরের ওপর অনুভূমিকভাবে রয়েছে তৃতীয় পাথরটি। এগুলো সবই সার্সেন পাথরের। এ ছাড়া স্টোনহেঞ্জের বাইরের যে বৃত্তাকার প্রাচীর, তাও সার্সেন পাথরে তৈরি। এসব পাথরের প্রতিটিই বিশাল আকারের।

গবেষক ডেভিড ন্যাশ বলেন, পাথরগুলোর উৎস জানা গেছে। তবে ওয়েস্ট উড থেকে কীভাবে এসব পাথর স্টোনহেঞ্জে আনা হয়েছে, তা এখনও রহস্য। পাথরের বিশাল আকার থেকে আমরা বড়জোর ধারণা করতে পারি, এগুলো হেঁচড়ে অথবা রোলারের ওপর রেখে গড়িয়ে গড়িয়ে আনা হয়েছে। কোন পথে এগুলো আনা হয়েছিল, তাও অজানা।

এর আগে দাবি করা হয়েছিল, স্টোনহেঞ্জের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের পাথরগুলো আনা হয় ১৫০ মাইল দূরের ওয়েলস রাজ্যের প্রেমব্রুকশায়ার থেকে। তবে সে সময়ের গবেষণায় সার্সেন পাথরগুলোর উৎস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সূত্র :রয়টার্স


শর্টলিংকঃ