হোলি এখন সকলের উৎসব


এম এ আমিন রিংকু, কলকাতা থেকে :

দোল  বা হোলি উৎসব এ যেন  মনের রঙে বিশ্বকে রাঙানোর উৎসব। এক মুঠো রঙ দিয়ে ধর্ম বর্ণ সব মুছে এক হওয়ার উৎসব। প্রতি বছর বাঙালিরা এই দিনটিতে রঙের খেলায় আনন্দ মেতে ওঠে। আর এখন এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গণ্ডি ছড়িয়ে পরিণত হয়েছে সর্বজনীন উৎসবে। আর তাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মেতে উঠেন অনাবিল আনন্দে।

দোল বা হোলির ইতিহাস হচ্ছে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির উত্থানেরও ইতিহাস। কথিত আছে, এই দিনে শ্রীকৃষ্ণ কেশি নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। আবার কোথাও কোথাও অরিষ্টাসুর নামে অসুর বধের কথাও পাওয়া যায়। অত্যাচারী অসুরকে বধ করার পর সবাই আনন্দে মেতে উঠে। অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়ে মহাআনন্দে মেতে উঠে সবাই। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব হয় বলে একে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। আর বাংলায় যাই দোল যাত্রা পশ্চিম ও মধ্য ভারতে তাই হোলি।

কলকাতার সত্যজিত রায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটেও রঙের খেলায় মেতেছিল বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। ভারত সরকারে বিদেশ মন্ত্রকের ব্যবস্থাপনায় আইটেক স্কলারশিপ নিয়ে এখানে সাংবাদিকতা বিষয়ে একমাসের কোর্স করতে এসেছেন ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাকারিয়া আহমেদ তিনি জানালেন, ‘কোন উৎসবে যে প্রাণবন্ত হতে পারে এ হোলি উৎসব না দেখলে বোঝা যায় না।’

জাকারিয়া আহমেদের মত একই কোর্স করতে কলম্বিয়া থেকে এসেছেন মার্কো বনিলা তিনি বলছিলেন, ‘আমি এ উৎসব দেখতে সকাল থেকে কলকাতার অনেক জায়গায় গিয়েছি। আমার খুব ভাল লেগেছে সব জায়গায় সম্প্রীতির এর অনন্য উদাহারণ দেখতে পেয়েছি। সব ধর্মের বর্ণের মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে রঙ মাখিয়ে দিচ্ছে। এ উৎসব গোটা বিশ্বের জন্য উদাহারণ।’

ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপ নিয়ে এখানে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের মুহিত। তিনি এ উৎসব নিয়ে জানাচ্ছিলেন, ‘ এখানে কোন বর্ণ ধর্ম জাত পাত আর দেশের গন্ডি নেই । সবাই মিলে অনন্দ করতে পারছি এর চাইতে বড় কিছু হয় না।

বাঙালির এই উৎসব এখন পরিণত হয়েছে সার্বজনীন আনন্দের উপলক্ষ্যে। যার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্ব থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে রুখে দেয়ার আহবান জানালেন শিক্ষার্থীরা সহ সকলে।


শর্টলিংকঃ