সম্প্রীতি সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার শীর্ষক-গোলটেবিল বৈঠক


নিজস্ব প্রতিবেদক:

একজন নাগরিকের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। এর কিছু প্রদান করে থাকে পরিবার, কিছু করে রাষ্ট্র। তবে অন্যান্য অধিকার থেকে ভোক্তা অধিকার কিছুটা ভিন্ন। আর এই ভোক্তার সঙ্গে বিক্রেতার সম্পর্ক যত ভাল হবে ততই ভোক্তার জন্য মঙ্গলজনক। সম্প্রীতি অটুট রাখার মধ্যদিয়েই ভোক্তা ও বিক্রেতার সম্পর্ক দৃড় করলেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

৭ আগস্ট ২০১৯ বিকেলে সম্প্রীতি সুরক্ষায় ভোক্তা অধিকার শীর্ষক-গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন অতিথিবৃন্দ। রাজশাহীর মাস্টারসেফ কনফারেন্স রুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পেভ প্রকল্পের পিস প্রেসার গ্রুপ এবং কনস্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহী জেলা এ বৈঠকের আয়োজন করে।

ক্যাব সভাপতি মো. কাজী গিয়াসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মো. মনিরুজ্জমান মনি। রাজশাহী পিস প্রেসার গ্রুপ সমন্বয়কারী মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাব রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা মামুন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক মো. আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনু, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যঅশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. নাসরিন লুবনা, বিএসটিআইএর প্রকৌশলী মো. জুনায়েদ আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা মো. সেকেন্দার আলী, পিপিজি অ্যাম্বাসেডর মহেশ চন্দ্র সরকার

পেভ অ্যাম্বাসেডর মো. আশরাফুল হক তোতা, তানোর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বাক্কার আলী, জাপা নেতা মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, সুজন রাজশাহী জেলা সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ, সুজনের রাজশাহী মহানগর সভাপতি পিয়ার বক্স, সুজনের রাজশাহী সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম মাসুদ, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আনিসুজ্জামান, পিপিজি সদস্য এসএম মোজাম্মেল ইসলাম, সৈয়দা রুমেনা হোসেন, মামুনুর রশিদ

সুজনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল ইসলাম, ক্যাবের উপদেষ্টা আশরাফ আলী দেওয়ান, ক্যাব পবার সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম. গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক মুরাদ মোর্শেদ, ইয়ূথ লিডার মো. জিহাদুল ইসলাম, মো. মাসুম রাসেল, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. মিজানুর রহমান প্রমূখ।।

বক্তারা আরো বলেন, ভোক্তা অধিকার আন্দোলনে আঞ্চলিক ইস্যু নিযে কাজ করতে হবে। একজন নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার, তথ্য পাওয়ার অধিকার, নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার অধিকার, পছন্দের অধিকার, জানার অধিকার, অভিযোগ করা ও প্রতিকার পাওয়ার অধিকার, ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার, সুস্থ পরিবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

সেই লক্ষ্যে পণ্য ক্রয়ে প্রতারণার হাত থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে বহুল প্রতীক্ষিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের ফলে কোনো ভোক্তা পণ্য ক্রয়ে পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, মূল্যসহ কোনো বিষয়ে প্রতারিত হলে তার প্রতিকার পেয়ে থাকেন।

এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার দরুন প্রতারিত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

তাই ভোক্তাকে এই আইন সম্পর্কে জানতে হবে এবং নির্ধারিত পন্থায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে। তাহলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ন্য কমবে এবং ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার সংখ্যাও কমে আসবে। ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাই সচেতন হলেই আইনটির সঠিক বাস্তবায়ন হবে।


শর্টলিংকঃ