বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীরা দুইজন করে ড্রাইভার নিয়ে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করছেন।একই পদে বেতন ভাতা তুলছেন সবাই। এ অনিয়ম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে সরকারের বিপুল টাকা অপচয় হচ্ছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বলছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের গাড়ির বিপরীতে ড্রাইভার হিসেবে রয়েছেন আব্দুর রশিদ ও আবুল কাশেম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ ইউনুস আলীর গাড়ির জন্য আতাউর রহমান ও গোলাম রসুল ড্রাইভার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ সানজিদা আফরিন ঝিনুকের গাড়ির ড্রাইভার হলেন নুরুল আমিন ও মোসলেম উদ্দিন।
এছাড়া নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ ড. ফিরোজ জাহাঙ্গীরের গাড়ির জন্য ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত আছেন জামিল উদ্দিন ও কামারুজ্জামান এবং উপ-বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ বিপ্লব কুণ্ডুর গাড়ির ড্রাইভার হলেন জহুরুল ইসলাম ও শুকুর আলী।
ড্রাইভার আব্দুর রশিদ জানান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ির মূল ড্রাইভার আবুল কাশেম। কিন্তু কিন্তু সে গাড়ি চালাতে পারে না। তাই নাটোর থেকে কয়েক মাস আগে তাকে রাজশাহীতে আনা হয়েছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ ইউনুস আলীর ড্রাইভার আতাউর রহমান বলেন, গোলাম রসুলও এই গাড়ির ড্রাইভার। কিন্তু সে রোলার চালায়।
এ বিষয়ে নড়ক ও জনপথ বিভাগের বৃক্ষপালন শাখার প্রধান সহকারী জায়নুল আবেদিন জানান, আদালতে রিটের পর ওয়ার্কডচার্জভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশির ভাগেরই চাকরি স্থায়ী হলেও অনেকেই বাদ পড়েছেন। কিন্তু রাজস্বখাত থেকে বাদপড়া ব্যক্তিরা এখনো বহাল আছেন। তাই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, একই পদে দু’জন করে নিয়োগ ও বেতন-ভাতা তোলার বিষয়টি অনিয়ম হলেও আপাতত কিছু করার নেই। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এ বিষয়টি জানেন। তবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।