পুঠিয়ায় কিশোরীকে অপহরণের পর ধষর্ণের অভিযোগে আটক ২


পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক কিশোরী (১৫) কে ধর্ষনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

repe in bangladesh
আটককৃত দু’জনের মধ্যে নাদেল নামের এক যুবক (১৮) ভূক্তভোগি ওই কিশোরীর স্বামী। এবং অপরজন স্বামীর চাচাতো ভাই বাপ্পি (২০) বলে জানা গেছে। তারা উভয় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা গত (৫ জানুয়ারি) রোববার রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করেন পুঠিয়া থানা পুলিশ। পরে রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।(মামলা নং(৯)-০৫-০১/২০২০ ইং) ওই মামলায় গত (৬ জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাধনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) এস আই স্বপন কুমার বলেন, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার পথে নাদেন তার চাচাতো ভাই বাপ্পির সহযোগীতায় ভিকটিমকে অপহরন করে। তবে তখন ভূক্তভোগির পরিবার অপহরনের মামলা বা জিডি কিছুই করেননি। এর মাস খানেক পর মেয়েটি বাড়ি ফিরে। পরে তারা আবারো মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন সাধনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের দু’জনকে আটক করেন।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, সাধনপুর ও তাহেরপুর পাশাপাশি এলাকা হওয়ায় ছেলে ও মেয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে আমার ধারনা। সেই সম্পর্কের সুত্র ধরে গত মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বলে শুনেছি। বিয়ের পর মেয়েটি বাবার বাড়ি এলে তারা মেয়েকে আটকে রাখেন। ছেলেটিও মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে গত দু’দিন আগে মেয়ের বাড়িতে অনশন শুরু করে। ওই দিন পারিবারিক ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত নাদেন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আর ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েটি নাবালিকা তাকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে বলে তার বাবা অভিযোগ করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গেলে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ