নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
মো.জীবন আলী। বয়ষ প্রায় ৪০ বছর। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের টোলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন নিজ বাড়ীতে। তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও কারও করুনায় তিনি চলতে চান না। তিনি কষ্ট করে ছোট পরিসরে থালা বাসন বিক্রি করেন গ্রামে ঘুরে ঘুরে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তিনি কোন রকমে সংসার চালান।
তবে প্রায় দুই মাস ধরে করোনায় থাবায় বন্ধ হয়ে গেছে তার ছোট এই ব্যবসাটি। ফলে ঘরে যে পরিমান খাবার ছিল,তা শেষ হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে সামান্য সাহায্যরে জন্য ছুটে গেছেন তার ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দরবারের। তাতে লাভ হয়নি। কেও ঘুরে তাকায়নি। কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। ফলে গত রোববার সকালে এক মুঠো খাবার যোগাড় করতে ছুটে আসেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্তরে। সেখানেও গিয়েও ব্যর্থ হন। তিনি অঝোরে কান্না করতে থাকেন। তার কান্না স্থানীয় মানুষদের হৃদয়ে স্পর্ষ করে। একজন ব্যক্তি তার কান্না মোবাইল ফোনে ধারন করে ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
বিষয়টি দেখতে পান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান ও কুমিল্লার বর্তমান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম,বিপিএম(বার)পিপিএম। তিনি আজ সোমবার সকালে তার লোক পাঠিয়ে পরিবারটির খোঁজ খবর নেন। এছাড়া বিকেলেই জীবন আলীর পরিবারের প্রায় দুই মাসের খাবারের জন্য ৫০ কেজি চাল ও নগদ আর্থিক সহায়তা করেন।
হঠাৎ করে দুই মাসের খাবার ও টাকা পেয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে যান প্রতিবন্ধী জীবন আলী। তিনি পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপারের এমন মানবিকতার খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। তাতে অনেককেই দেখা যায় পুলিশ সুপারের প্রশংসা করতে।
আরও পড়তে পারেন : পাবনার সকল দোকানপাট শপিং মল বন্ধ ঘোষণা