আরএমপির এক এএসআই’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই এএসআইয়ের নাম সোহেল রানা। তিনি নগরীর মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আরএমপি কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। নগরীর মতিহার থানার ধরমপুর পূর্বপাড়া বউবাজার এলাকার বাসিন্দা হাসিবুল হাসান এ অভিযোগ করেছেন।

হাসিবুল তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার ছোট ভাই মেহেদী হাসান অলি শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বিনোদপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। ধরমপুর পূর্বপাড়া সইমুদ্দিনের আমবাগানের গলিতে এএসআই মোটরসাইকেল চালক অলির গতিরোধ করেন। এরপর সারাশরীর তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। গাড়ির ব্লু-বুক এবং ইনস্যুরেন্সের কাগজ দেখালেও মাথায় হেলমেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য অলিকে শার্টের কলার ধরে পুলিশের গাড়িতে তোলেন এএসআই সোহেল।

এ সময় তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ৫০০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা করার হুমকি দেন এএসআই সোহেল। এ সময় ওই এলাকার জালাল, অনিক ও সারোয়ার হোসেন ভুক্তভোগির ভাই হাসিবুলকে খবর দেন। হাসিবুল দ্রুত সেখানে পোঁছে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাথেও সোহেল অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে অলিকে আটকের প্রতিবাদ জানান। অবস্থা বেগতিক দেখে এএসআই সোহেল পুলিশ সার্জেন্ট সনেটকে ডেকে মোটরযান আইনে একটি মামলা দিয়ে অলিকে ছেড়ে দেন। এরপর তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

হাসিবুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সোহেলের নানা কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত মাসোহারা নেন। শুধু তাই নয়, এলাকার মানুষকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তিনি। টাকা না দিলে মাদকের মামলা দিয়ে হেনস্থা করেন। অভিযোগকারী হাসিবুল তার অভিযোগ তদন্ত করে এএসআই সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই সোহেল বলেন, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি সরকারী দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। তিনি বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আমার কোন প্রকার সম্পর্ক নেই।

আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, তিনি এখনো অভিযোগটি হাতে পাননি। অভিযোগ হলে তার তদন্ত হবে। দোষি প্রমাণিত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শর্টলিংকঃ