আশ্রয়ন প্রকল্পে ধীর গতি, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের


রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর:

নওগাঁর রাণীনগরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় “ যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের কাজ শেষ ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও অতিরিক্তি ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কাজ শেষ না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

 

লতিফুন বেওয়া সাংবাদিকদের বলেন, এখনো আমার পাওয়া ঘরের কাজ শেষ করা হয় নাই। অতি সম্প্রতি ঘরের মেঝে ও বারান্দার পাঁকাকরণের কাজ শেষ করা হয়েছে মাত্র। পায়খানা এখনো নির্মাণ করা হয় নাই। পায়খানার টিনের কাঠামো তৈরি করে অন্যস্থানে রেখেছে। কবে তৈরি করা হবে তা আমার জানা নেই। ঘরের টিনসহ অন্যান্য উপকরনগুলো ঠিক থাকলেও কাঠের বাটামে ভেজাল প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আর এতদিনেও ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় তিনি চরম হতাশা প্রকাশ করেন।

 

 

সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন (অতিরিক্ত সচিব) স্বাক্ষরিত পরিপত্রের মাধ্যমে দেশের কয়েকটি জেলায় “ যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপ-খাতের আওতায় মোট ৪৬টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

প্রতিটি ঘর নির্মাণের খরচ হিসেবে ১লাখ করে টাকা প্রদান করা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। এই প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত- মকবুল ফারাজীর স্ত্রী লতিফুন বেওয়ার নামে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। পরিপত্রে প্রেরিত প্ল্যান, ডিজাইন ও প্রাক্কলন মোতাবেক গুনগতমান বজায় রেখে গত জুন মাসের ৩০তারিখের মধ্যে ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করার নিদের্শনা প্রদান করা হলেও অদ্যবধি ওই ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি।

 

নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন সাংবাদিকের বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি বাড়িটি পরিদর্শন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


শর্টলিংকঃ