‘ইউনান ইউনিভার্সিটি’ প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ


এম এ আমিন রিংকু:

‘ইউনান ইউনিভার্সিটি’ প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ। চারদিকে তাকালে চোখ জুড়াতে বাধ্য। কোথাও নেই কোন গাড়ির হর্ন, বাংলাদেশের মত নেই ময়লা আবর্জনা স্তুপ।চারদিকে সবুজের সমারোহ আর পাখির কলতান। দক্ষিণ–পশ্চিম চীনের কুনমিং নগরীর কাছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘেরা এলাকায় ১৯২৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এ অঞ্চলের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়।

'ইউনান ইউনিভার্সিটি' প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ

স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদেরও এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। এসব বিদেশী শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অফিসের পরিচালক ড. ইয়াং ওয়েই এ কথা জানান। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ইউনান ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাপক সুযোগ–সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এখানে মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছেন এবং এখানে টিউশন ফি, থাকার খরচ ও আনুষঙ্গিক খরচ নিজ নিজ দেশের তুলনায় কম। রাজশাহী থেকে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহামুদুর রহমান আবির বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষে উপস্থিতি নীতি কঠোরভাবে মানা হয়। তবে চীনা ভাষায় পড়াশোনা করতে পারলে অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এখানে সুযোগ পাবে। যেসব বিষয় পড়াশোনায় চীনা ভাষা সম্পৃক্ত, সেক্ষেত্রে কেবল চীনা ভাষা শিক্ষা পূর্বশর্ত রয়েছে।

'ইউনান ইউনিভার্সিটি' প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ

তিনি আরও জানান, আন্ডার গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট ও ডক্টরেট পর্যায়ে অনেক সাবজেক্ট আছে ইংরেজি ভাষা মাধ্যমে এবং এসব ক্ষেত্রে চীনা ভাষা শিক্ষার প্রয়োজন নেই। কিছু ছাত্র জানালেন, চীনা ভাষা শিক্ষাসহ এখানে পড়াশোনা সম্পন্ন করলে চীনে চাকুরি পাওয়া সহজ।

বিভিন্ন কোর্সে বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশী ছাত্রদের জন্য পূর্ণ স্কলারশিপ সুযোগ দিচ্ছে তবে এক্ষেত্রে সকলকে কিছু পূর্বশর্ত মানতে হচ্ছে। মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ দিচ্ছে, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আকর্ষণীয় কোর্স বেছে নিতে পারেন এবং সম্ভাবনাময় উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ে নিতে পারেন।

'ইউনান ইউনিভার্সিটি' প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ

ড. ওয়েই বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষাসহ পারস্পরিক স্বার্থ–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি চীনের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ–সাউথ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ইউনান ইউনিভার্সিটির মাস্টার্স ও ডক্টরাল পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ইউনান ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসরদের জন্যও সুযোগ রয়েছে।

বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া ও চাকুরির সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভর্তি শিক্ষার্থীদের ভিসা সহজেই পাওয়া যায়, তবে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ইউরোপ আমেরিকার মতো চাকুরি করার সুযোগ নেই।

ইউনান ইউনিভার্সিতে ভর্তি বিষয়ক যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন চীনে ভর্তি ও স্কলারশিপ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান – ইউনিভার্সাল এডুকেশন এন্ড ইমিগ্রেশন এ। বিস্তারিত ঠিকানা

ইউনিভার্সাল এডুকেশন এন্ড ইমিগ্রেশন

৬২/এ সাগরপাড়া (বটতলা) , বোয়ালিয়া, রাজশাহী-৬১০০

টেলি: 0721 771177, মোবাইলঃ 01711 924 977 , 01714 690 794

আরও পড়তে পারেন  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন, কেন পড়বেন না


শর্টলিংকঃ