কঠিন সময় দিয়েছে সবচেয়ে সফল ছবি


ইউএনভি ডেস্ক:

জেসিকা অ্যালবাকে নিয়ে আলাদা করে একটু না বললেই নয়। মা ফ্রেঞ্চ ও ডেনিশ বংশোদ্ভূত। বাবা মেক্সিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেন জেসিকা। ছয় বছরের মাথায় পেয়ে যান তারকা খ্যাতি। খ্যাতিমান পরিচালক জেমস ক্যামেরুনের টিভি সিরিজ ডার্ক অ্যাঞ্জেল-এর মূল চরিত্র জেসিকাকে এনে দেয় সেই খ্যাতি। তারপর কেবল ছুটে চলা। তারকা থেকে মহাতারকা হওয়ার গল্প।

পরিচালক সাফ বলে দিয়েছিলেন, “কারও সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, তুমি যদি কারও দিকে তাকাও, তোমাকে সেট থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে।” আমি দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে গেছি। সব সেটের গল্প হাসি আর মজার হয় না। কিছু গল্প থাকে কঠিন সময়ের।

খ্যাতি পাওয়ার পরপরই হলিউডের ‘সেক্স সিম্বল’দের একজন হতে সময় লাগেনি জেসিকার। ২০০৬ সালে ম্যাক্সিম ম্যাগাজিন জেসিকাকে রাখে বিশ্বের সেরা আবেদনময়ী ১০০ তারকার তালিকায়। আর আস্কমেন ডটকম তাঁকে বসিয়ে দেয় এক নম্বরে। পরের বছর ফর হিম ম্যাগাজিনও জেসিকাকে বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী নারী ঘোষণা করে।

মজার ব্যাপার হলো এই যে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি হলিউডের মতো প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আবেদনময়ীর স্বীকৃতি পেয়েছেন, তা জেসিকার শরীরের কাঠামোর কারণে নয়। গণমাধ্যম জানিয়েছে, জেসিকার আবেদন তাঁর চাহনিতে। আর সেটিই তাঁকে এত দূর নিয়ে গেছে।

বেভারলি হিলস ৯০২১০ জেসিকার সবচেয়ে আলোচিত আর ব্যবসাসফল সিনেমাগুলোর একটি। সেই সফলতা যে সহজে ধরা দেয়নি, সেটিই তিনি জানালেন ‘হট ওয়ানস’-এর সাম্প্রতিক পর্বে। বললেন, ‘বেভারলি হিলস–এর সেটে চরিত্রের মধ্যে থাকার জন্য আমি কী না করেছি! অন্য শিল্পীদের সঙ্গে চোখাচোখি করাও নিষেধ ছিল।

পরিচালক সাফ বলে দিয়েছিলেন, “কারও সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, তুমি যদি কারও দিকে তাকাও, তোমাকে সেট থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে।” আমি দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে গেছি। সব সেটের গল্প হাসি আর মজার হয় না। কিছু গল্প থাকে কঠিন সময়ের। আর সেই তেতো সময়ের ফল পরে মিষ্টি হয়েছে।’


শর্টলিংকঃ