‘কাশ্মীর ও আসামে গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত’


গণহত্যা নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা ড. গ্রেগরি স্ট্যানটন বলেছেন, ‘ভারতে নিশ্চিতভাবে গণহত্যার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে’।

১২ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে কাশ্মীর ও এনআরসি নিয়ে ‘গ্রাউন্ড রিপোর্টস অন কাশ্মীর অ্যান্ড এনআরসি’ শীর্ষক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন কংগ্রেস ও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেছেন।

ড. গ্রেগরি স্ট্যানটন বলেছেন, আসাম ও কাশ্মীরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ‘গণহত্যার পূর্ব পর্যায়ে রয়েছে। এর পরের পর্ব হলো নির্মূলকরণ- আমরা যেটাকে গণহত্যা বলে থাকি’।

১৯৯৬ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরে কাজ করার সময় ‘গণহত্যার ১০ ধাপ’ নামের একটি উপস্থাপনা তৈরি করেন ড. গ্রেগরি স্ট্যানটন। এই উপস্থাপনার জন্য বিশ্বজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পান তিনি। তার মতে গণহত্যার ১০টি ধাপ হচ্ছে-

প্রথম ধাপ : ‘আমরা’ বনাম ‘তারা’ বিভাজন তৈরি করা।

দ্বিতীয় ধাপ : একটি প্রতীকে পরিণত করা, যাতে ভূক্তভোগীদের ‘বিদেশি’ বলে ডাকা হয়।

তৃতীয় ধাপ : বৈষম্যকরণ-যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের নাগরিকত্ব প্রদান থেকে দূরে রাখা হয়, যাতে তারা কোনো মানবাধিকার বা নাগরিক অধিকার না পায়। একইসঙ্গে তারা আইনি বৈষম্যের শিকার হয়।

চতুর্থ ধাপ : অমানবিকীকরণ- এই পর্যায়ে গণহত্যার বিষয়টি সর্পিল গতিতে এগুতে শুরু করে। ভুক্তভোগীদের নিজেদের তুলনায় নিকৃষ্ট হিসেবে তুলে ধরা হয়। তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ কিংবা পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। এমনকি দেহে আক্রমণ করা ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করা হয়; যাতে তাদেরকে সমাজের কাছে এমন রোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় যার চিকিৎসা জরুরি।

পঞ্চম ধাপ : এই পর্যায়ে গণহত্যা সংঘটনের জন্য একটি সংস্থা তৈরি করা হয়। কাশ্মীরে এই ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, আর আসামে নাগরিকত্ব শুমারি পরিচালনাকারীরা।

ষষ্ঠ ধাপ : এটি মেরুকরণ পর্যায়, যেটি প্রচারণার মাধ্যমে করা হয়।

সপ্তম ধাপ : প্রস্তুতি।

অষ্টম ধাপ : এই ধাপে চালানো হয় নিপীড়ন। বর্তমানে আসাম ও কাশ্মীরে এটি চলছে।

নবম ধাপ : নির্মূলকরণ।

দশম ধাপ : সর্বশেষ এই ধাপটি হচ্ছে অভিযোগ অস্বীকার করা।


শর্টলিংকঃ