কোহলির চোখে সমস্যা!


ইউএনভি ডেস্ক:

ভুলে যাওয়ার মতো একটি সফর শেষ করেছে কোহলি ও তার দল। বিশেষ করে বিরাট কোহলির মতো একজন ব্যাটসম্যানের জন্য এমন সফর ছিল দুঃস্বপ্নের মতোই। তিন ফরম্যাটে ১১ ইনিংসে তার হাফ সেঞ্চুরি মাত্র ১টি। টেস্টে তার পারফরম্যান্স ছিল আরো বাজে। ৯.৫০ গড়ে দুই টেস্টের চার ইনিংসে তিনি রান করেছেন মাত্র ৩৮টি!

কোহলির চোখে সমস্যা!

নিউজিল্যান্ডের বোলারদের শক্তিমত্তার দিক বিবেচনা করে অনুশীলনে কোহলি অফ স্ট্যাম্পের বলে প্রচুর অনুশীলন করেছেন। কিন্তু সোজা বলে আউট হয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব মনে করছেন কোহলির দৃষ্টিশক্তী ও প্রতিবর্তী ক্রীয়া (রিফ্লেক্স) কমে যেতে পারে। সে কারণে তাকে এখন থেকে স্ট্রেইট ডেলিভারিতে প্রচুর অনুশীলন করা উচিত। সাবেক অধিনায়ক এও মনে করছেন যে আসন্ন আইপিএলে তিনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন।

কপিল দেব বলেছেন, ‘যখন আপনি নির্দিষ্ট একটি বয়সে পৌঁছান, বিশেষ করে যখন আপনার বয়স ৩০ পার হয়, তখন দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। সুইংয়ের বিরুদ্ধে কোহলি বেশ শক্তিশালী ছিল। ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকাত। কিন্তু এখন দেখলাম দুইবার আউট হয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি তার দৃষ্টিশক্তির সামঞ্জস্যতা আনা উচিত। যখন বড় বড় ক্রিকেটাররা বোল্ড কিংবা এলবিডব্লিউ হতে শুরু করে ইনকামিং ডেলিভারিতে তখন তাদের বেশি বেশি অনুশীলন করা উচিত। তাতে এটা প্রতীয়মান হয় যে আপনার দৃষ্টিশক্তি ও প্রতিবর্তী ক্রীয়া (রিফ্লেক্স) কমে আসছে। সুতরাং অল্প সময়েই আপনার শক্তিমত্তার দিক দুর্বলায় পরিণত হবে।’

‘১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি সবচেয়ে ভালো থাকে। এই বয়সের পর কমতে থাকে। তবে সেটা নির্ভর করে এটা নিয়ে আপনি কতটুকু কাজ করছেন সেটার উপর। শেবাগ, দ্রাবিড়, ভিভ রিচার্ডসরা কিন্তু একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তাদের ক্যারিয়ারে। সুতরাং কোহলির বেশি বেশি অনুশীলন করা উচিত। যখন আপনার চোখে সমস্যা হবে তখন আপনার টেকনিক্যাল দিকটা আরো শাণিত করতে হবে।’- যোগ করেন কপিল দেব।

তিনি অবশ্য এও জানিয়েছেন যে আইপিএল তাকে দারুণ সহায়তা করবে। কারণ, কোহলি একজন বড় মাপের ব্যাটসম্যান, ‘আমি মনে করি আইপিএল তাকে বেশ সহায়তা করবে। এখন সে আইপিএল নিয়ে ভাববে। সে বড় মাপের একজন ক্রিকেটার। সে নিশ্চয়ই তার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে এবং সেটার সমাধান করবে।’


শর্টলিংকঃ