প্রেমিকজুটি আটক নিয়ে পুলিশ-গ্রামবাসী রাতভর উত্তেজনা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গভীর রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বেদম পিটুনীর শিকার হয়েছে প্রেমিক। এসময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশকেও অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত গ্রামবাসী। পরে আজ সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ধোপাপাড়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে হায়দার আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুঠিয়ার হারুগাতি গ্রামের বাসিন্দা ও সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর। রোববার দিনগত রাত ১১টার দিকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে হারুগাতি গ্রামে যায় হায়দার। এসময় দুই বন্ধু নাদিম মোস্তফা ও রবিন হোসেনও তার সঙ্গে ছিল।

মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, দেখা করতে এসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হায়দার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। এসময় তার দুই বন্ধু পাশের বাজারে অপেক্ষায় ছিল। তবে ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা হায়দারসহ তার দুই বন্ধুকে আটকে রেখে পিটুনী দেয়। হায়দারের এক পায়ে লোহার রডও ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে, পরে খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিতে যেতে চাইলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। তারা পুলিশকে জানায়, সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিচার হবে। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে মসজিদের মাইক থেকে পুলিশকে প্রতিহত করতে গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উত্তেজিত গ্রামের লোকজন গাড়ির হাওয়া ছেড়ে দিয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।   গ্রামবাসী নারী পুলিশ সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এসময় পুলিশও লাঠিচার্জ করে।

পরে ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়।

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান আরো জানান, আহত হায়দারকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে মেয়েটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া সরকারী কাজে বাধা দেয়া অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকেও আলাদা মামলা হবে।

 

 


শর্টলিংকঃ