রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, ‘ধর্মের নাম করে বিপথগামীরা তরুণদের সহিংসতা শেখাচ্ছে। সমাজে সহিংসতা সৃষ্টি করা তরুণদের কাজ নয়, তাদের কাজ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’
উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে তরুণরা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি ইতিবাচক আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। বর্তমানে নিত্য-নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হচ্ছে, তারুণরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তবে সঠিক ব্যবহারের চেয়ে তারা প্রযুক্তির অপব্যবহারই বেশি করছে। তাদেরকে সচেতন করতে হবে, নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। গল্পের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে নৈতিকতা শেখাতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ সভার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থী অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেণী প্রমূখ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, বিইআই-এর গবেষণা কর্মকতা নিপা রানি, দাইয়ান ইবনে হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রকল্প উপদেষ্টা আজিজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিইআই -এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম হুমায়ুন কবীর। শুরুতে তিনি তরুণদের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উগ্রবাদীকরণের হুমকি ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। পরে তিনি অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
জানা যায়, পররাষ্ট্র, নিরাপত্তা, সুশাসন, আঞ্চলিক সহযোগিতা, পেশাগত ও কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০০ সালে বিইআই প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে সংস্থাটি তরুণদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, আলোচনা সভার আয়োজন করে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।