চাঁপাইয়ে করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষার্থী গোদাগাড়ীর বাসিন্দা


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনার ভয়াল থাবা পড়লেও এতদিন গোদাগাড়ী উপজেলায় কোন করোনা রোগী শনাক্ত ছিল না। তবে সোমবার রাতে এই উপজেলার দু’জন প্রথমবারের মতো করোনা (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।আক্রান্ত একজন স্বাস্থ্য কর্মী অপরজন শিক্ষার্থী এদের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়।

চাঁপাইয়ে করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষার্থী গোদাগাড়ীর বাসিন্দা

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তালেব।আক্রান্তরা হলেন, বাসুদেবপুর ইউনিয়নের অভয়া কামারপাড়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে স্বাস্থ্য কর্মী রফিকুল ইসলাম (মাসুম) চর অনুপনগর ইউনিয়নে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।

বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এবং তিনি বিভিন্ন জেলা হতে যে সকল মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসেছেন তাদের পিটিআইতে করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। এ জন্য তার নিজের সন্দেহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ০৯ মে। এবং গতকাল সোমবার তার নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে।

বর্তমানে তিনি অভয়া কামারপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এবং তিনি শারিরীক ভাবে সুস্থ্য আছেন।অপর শিক্ষার্থী হলেন, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের আই হাই রাহী গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে উম্মে সালমা(২৫)। সে একজন ছাএী এবং তিনি তার চাচার বাসায়( পাঠানপাড়া সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে পড়াশোনা করেন।

বেশ কয়েকদিন যাবত তিনি জ্বর ও কাশিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয় একই দিনে তারও নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে এই শিক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জে তার চাচার বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এবং শারিরীক ভাবে সুস্থ আছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

জানা গেছে,চাঁপাইনবাবগগঞ্জ থেকে প্রেরণকৃত ২৪৯ টি করোনার নমুনা ঢাকার সাভারে অবস্থিত (Bangladesh Livestock Research Institute (BLRI) ল্যাবে পরীক্ষায় মোট ২০ জনের করোনা নমুনার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায়।

গত ৭ মে রিপোর্টে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার উইনুস নবীর করোনা পজেটিভ হওয়ায় বর্তমানে তিনি ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসুলেশোনে রয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা এর সংস্পর্শে আসার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ এদের পজিটিভ এসেছে।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া মহিশালবাড়ীর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শামীম হোসেনের করোনা পজিটিভ এর বিষয়ে ডাঃ তালেব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি একটি গুজব করণা উপসর্গ নিয়ে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন।তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি।

প্রসঙ্গত, গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী গোদাগাড়ী উপজেলায় মোট ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সকলের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে এ দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় পুরো গোদাগাড়ী উপজেলা জুড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে শংকা তৈরি হয়েছে।


শর্টলিংকঃ