‘জনগণও বোঝে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু’


ইউএনভি ডেস্ক:

বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু জনগণ এখন তা বুঝে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বিএনপির আন্দোলন কোন বছর হবে বিএনপি নেতাদের কাছে তা জানতে চেয়ে তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।


মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সালেহপুর সেতুর চার লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর।

খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে বিএনপি সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং সরকার পতনকেই নিজেদের কৌশল হিসেবে নিয়েছিল এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণও এখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। দলীয় নেত্রীর মুক্তির জন্য তাদের আগ্রহ যতটা না বেশি, তারচেয়ে বেশি আগ্রহ সরকার বিরোধিতায়। বিএনপি নেতারা কি চায়, তা তারাও জানে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা সমাবেশ, গণসংযোগ ঘোষণা করেছে। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা এখন বলছে সংগঠনকে গুছিয়ে তারপর আন্দোলনে নামবে, এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু। তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরুলো, কর্মীরাও হতাশ। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ।

বিএনপিকে অপরাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিনিয়োগ না করে জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া বা তারেক রহমানের কাছে নয়, ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তাহলে আগুন সন্ত্রাস আর নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে ততদিন যতই উন্নয়ন কাজ হোক না কেন তাতে কোন লাভ হবে না।

সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়কগুলোতে সৌন্দর্য রক্ষায় অনতিবিলম্বে ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে।

গুণগত মান বজায় রেখে সড়কের নির্মাণ কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কে চলমান যেসব কাজ চলছে সেগুলো বর্ষার আগেই শেষ করতে হবে।


শর্টলিংকঃ