টাইগারদের বোলিং তাণ্ডবে ১০৬ রানে শেষ ভারত


 

বাংলাদেশের উইকেট উৎসব

বাংলাদেশের উইকেট উৎসব৬-২-৮-৩, এটা শামীম হোসেনের বোলিং ফিগার। এই স্পিনারের সঙ্গে অন্য বোলাররাও জ্বলে ওঠায় যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাদের বোলিং তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত ৩২.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রানে।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের ফাইনালে ভারত টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই পড়ে বিপদে। মাত্র ৮ রানে তারা হারায় ৩ উইকেট। তানজীম হাসান সাকিব ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তোপে ভেঙে পড়ে ভারতের টপ অর্ডার।

তানজীমের বলে ভারতীয় ওপেনার অর্জুন আজাদ রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর উইকেট উৎসবে যোগ দেন মৃত্যুঞ্জয়। এই বাঁহাতি পেসারের শিকার তিলক ভার্মা (২)। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার রান আউট হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার সুভেদ পার্কার (৪)।

ধাক্কাটা অবশ্য কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল যুব এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু শামীমের ঘূর্ণিতে আবারও এলোমেলো। এক ওভারে বাংলাদেশি স্পিনার তুলে নেন শাশ্বত রাওয়াত (১৯) ও বরুণ লাভান্দের (০) উইকেট দুটি। পরে শামীম ফিরিয়েছেন ৩৩ রান করা ধ্রুব জুরেলকেও। তার এই উইকেটের আগেই অবশ্য মাহমুদুল হাসানের থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন অথর্ব আঙ্কোলেকর (২)।

৮২ রানে ৭ উইকেট হারানো ভারতের ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জন্মে শাহীন আলমের আঘাতের পর মৃত্যুঞ্জয় ম্যাচের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলে। যাতে ৮৪ রানে ভারত হারায় ৯ উইকেট। তবে শেষ উইকেটে করণ লাল ও আকাশ সিংয়ের জুটিতে ১০০ ছাড়ায় তাদের স্কোর। মৃত্যঞ্জয়ের শিকার হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করণ খেলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শামীম হোসেনই। তার মতো ৩ উইকেট পেয়েছেন মৃত্যঞ্জয়, ৭.৪ ওভারে তার খরচ মাত্র ১৮ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজীম ও শাহীন।


শর্টলিংকঃ