টিকাদান কার্যক্রমে শতভাগ সফল রাজশাহী: মেয়র লিটন


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, টিকাদান কার্যক্রমে সারাদেশে ৯ বার প্রথম স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। টিকা কার্যক্রমে রাসিকের সাফল্য প্রায় শতভাগ। আগামীতে স্বাস্থ্যসেবায় কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় রাজশাহী সেরা হয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন

শনিবার (২ মার্চ) সকালে নগরভবনের সিটিহল সভাকক্ষে ‘ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন’ বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র আরো বলেন, টিকাপ্রদানে যারা দায়িত্ব পালন করেন, তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরো প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মী মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের কাজের গতি বৃদ্ধিতে ট্যাব প্রদান করা হলো।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিকক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন করছেন। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান অব্যহত রেখেছেন।

স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম মিলি, পরিচালক (স্বাস্থ্য) রাজশাহী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য।

এ সময় সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাশেদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ও প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব বিষয়ে প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডা. একেএম কামরুজ্জামান। সভার উপস্থাপনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

সভা শেষে রাসিকের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত টিম লিডারদের মাঝে প্রায় অর্ধশত ট্যাব বিতরণ করা হয়। এই ট্যাবের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন করা হবে।


শর্টলিংকঃ