ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যুবককে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা


দুর্গাপুর প্রতিনিধি :

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার এক যুবককে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নগদ দুই লাখ টাকা, তিনটি ফাঁকা চেক ও ফাঁকা ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার পর অপহুত যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে বাণেশ্বর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুঠিয়া থানা এলাকায় হওয়ার কারনে ওই যুবকের বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাণেশ্বর এলাকার নাদের আলী বিদ্যালয়ের সামনে সানীর চায়ের স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র আবু তাহের (৩০)। এ সময় ১০/১২ জন মুখোশধারী ব্যাক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবু তাহেরকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে মাড়িয়া এলাকার জনৈক হকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে ব্যাপক মারধোর করা হয় আবু তাহেরকে। এক সময় তাকে বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরি ধরে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পরে তার কাছে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়া তার মানিব্যাগে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের দুইটা চেক, ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি ফাঁকা চেক কেড়ে নেই অপহরণকারীরা।

এছাড়াও ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের ৬ টি ফাঁকা পাতায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়। স্বাক্ষর দিয়ে না চাইলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাম হাতের কব্জি ও ডান হাতের একটি আংগুল ভেংগে দেয়া হয়। রাত ৯ টার দিকে বাণেশ্বর এলাকার পুষ্প ক্লিনিকে ভর্তি করে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

পরে খবর পেয়ে আবু তাহেরের স্বজনরা ওই রাতেই আবু তাহেরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। এ ঘটনার ঘটনাস্থল পুঠিয়া এলাকায় হওয়ায় ওই রাতেই পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আবু তাহেরের বাবা আইয়ুব আলী।

পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান খালেদ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোয়া যাওয়া চেক ও নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়াও মুখোশধারী ব্যাক্তিদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


শর্টলিংকঃ