তানোরে আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা


লুৎফর রহমান তানোর:

চলতি আমন রোপা মওসুমে মাঠের পর মাঠ শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। গত বছরের ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এবার আবারো সংশয় মাথায় নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন ধানের লকলকে গাছগুলো পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এলকার চাষিরা। সেই সাথে পোকামাকড় দমনে কীটনাশক প্রয়োগেই ব্যস্ত রয়েছেন তারা।


তানোর উপজেলার একাধিক কৃষকরা জানান, তারা এবার আমন মওসুমের শুরুইে বুকভরা আশা নিয়ে দিনভর মাথার ঘামপায়ে ফেলে মাঠে কাজ করছেন। তানোর উপজেলার কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এ বছর চলতি আমর মওসুমে উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর আমন চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। তবে এর মধ্যে ২১হাজার ১০০হেক্টর উফশি ও বাকীঁগুলো আতপ জাতের ধান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আরো জানান, অন্যান্য বছর খরায় পানির সংকট থাকলেই চলতি বছর আশানুরুপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় এখন পর্যন্ত পানির প্রভাব থেকে মুক্ত উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া পাঁচন্দর, বাধাইড়, কলমা মুণ্ডুমালা তানোর পৌর সদরসহ বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠের পর মাঠ সবুজে সমারোহ। ধান খেত যেন বাতাসে দোল খাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার ১১টার দিকে মোহর মাঠে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল রনি নামের এক যুবক আমন ধানের জমিতে ঘাস পরিস্কার করছে। তিনি বলেন এটা আমন মওসুমের মাঝামাঝি সময় । এ সময়ে ধানে গোড়ালী পরিস্কার পরিছন্ন না রাখলে পঁচনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগাম জমিতে ঘাস পরিস্কার পরিছন্ন করে রাখছি।

একই মাঠে একটু দূরে আমন ক্ষেতে কৃষক সজলের সাথে দেখা হলে তিনি বলেন, এবারে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এখন পর্যন্ত আমন ক্ষেত ভালোই আছে। এর মধ্যে ধান গামরে বসতে শুরু করেছে। তবে তিনি হতাশার শুরে জানালেন, খরচের তুলনাই বাজারে ধানের দাম নেই। গত ইরি বোরা মওসুমের ধান এখনো বিক্রয় করতে পারিনি।

কয়েকদিন আগে দেড়বিঘা জমির দান মাড়াই কলে ১৫ মুণ বর্ষালি ধান পেয়েছি। সেটা মাত্র ৪০০ টাকা প্রতি মণে লোকশান দিয়ে বিক্রয় করেছি।


এ ছাড়া উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, গত ইরি বোরা মওসুমসহ বর্ষালি ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেক চাষি হতাশ হয়ে পেেড়ছন। আমন ইরি বোরা মওসুমে জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হলেই গত আমন মওসুমে ধান বিক্রয় করতে হয়েছে মন প্রতি মাত্র ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে। আর ইরিÑবোরা মওসুমে শুধু মাত্র খাটো জিরা ধান মাঝে মধ্যে প্রতিমন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে কেনা বেচা হলেও অন্যান্য জাতের ধান বিক্রয় হয়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা দরে।

তানোর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান, এখন থেকে আমন ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বা বড় ধারনে কোন দূযোর্গ না দেখা দিলে চলতি মওসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করছেন এ কর্মকর্ত।


শর্টলিংকঃ