দুই উপজেলার সেতুবন্ধন বাঁশের সাঁকো !


রাজেকুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিনে সীমান্ত ঘেঁষে ও আত্রাই উপজেলার সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিয়ে বুক চিড়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী।রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম আর আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য ঘাট ইজারাদারের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মান করায় এই দু’উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের বসবাসরত মানুষের মাঝে বাঁশের সাঁকোই তৈরি করেছে নিবিড় সেতু বন্ধন।

চলাচলের জন্য ঘাট ইজারাদারের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো
চলাচলের জন্য ঘাট ইজারাদারের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো

যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪যুগ পার হলেও ছোট যমুনা নদীর উপর দিয়ে পারাপারের জন্য নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাদায় একাকার হওয়ায় পায়ে হেঁটে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর,বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতয়াত,কৃষকদের উৎপাদিত ধান-গম,পাট সহ পন্যসামগ্রী সহজ ভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। বাধ্য হয়ে ফরিয়া ও মহাজনদের কাছে বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে বিক্রি করতে হয়।

আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামের আকবর আলী সরদার (৭০) আব্দুর রউফ (৪৮), রুহুল আমিন বিকাশ (৩৫) ও বেলালসহ গ্রামবাসিরা বলেন, ব্রীজ নির্মানের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি থাকলেও প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় কিন্তু স্থাপিত হয় না। এই এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কারো যেন মাথা ব্যাথা নাই। একটি অভাবে ব্রীজ প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে পারাপার হতে হয়।

আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম জানান,দুই উপজেলার মানুষের পারাপারের জন্য বর্ষা-শুস্ক মৌসুমে নৌকা,বাঁশের সাঁকো পায়ে হেটে চলার উপর হাজার হাজার মানুষকে ভরসা রাখতে হয় তাই জনসাধারণের জন্য এই স্থানে ব্রীজ নির্মান এখন সময়ের দাবী।


শর্টলিংকঃ