ধর্ষণের পর ধর্ষক নিরুদ্দেশ, সন্তানের জন্ম


ইউএনভি ডেস্ক:
বিয়ের প্রলোভনে মেহেদী হাসানের ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। বিয়ের চাপ দিলে নিরুদ্দেশ হন মেহেদী। এরই মধ্যে কন্যা সন্তান জন্ম দেন ধর্ষিতা। সন্তান ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে তিন মাস পর দুজনকে নিজের স্ত্রী-সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মেহেদী। এ ঘটনাটি বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের।

ধর্ষণের পর ধর্ষক নিরুদ্দেশ, সন্তানের জন্ম

আজ বুধবার সকালের দিকে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাহার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলার পর এক লাখ এক টাকা মোহরানায় রেজিস্ট্রি (কাবিন) মূলে বন্যা ও মেহেদী বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। এরপর সন্তান নিয়ে নবদম্পতি সুখের সংসার গড়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের ওই মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন ফজলুল বারীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৮)। কিন্ত মেহেদীর প্রেমে সাড়া দেননি বন্যা। গত ২০১৯ সালের ১৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটি নিজের ঘরে শুয়ে পড়েন। এসময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। এ সুযোগে মেহেদী হাসান ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের শিকার বন্যা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন মেহেদীকে বিয়ের চাপ দেন। অবস্থা বেগতিক ভেবে মেহেদী হাসান বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন। এ অবস্থায় ধর্ষিতার শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকে। এক পর্যায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নবজাতকের নাম রাখেন মেঘলা। সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে মেহেদীর বাবার নিকট যান বন্যা। কিন্ত স্বীকৃতি মেলেনি।

অবশেষে সন্তানসহ স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২৪ ফেব্রুয়ারী থানার মামলা দায়ের করেন বন্যা। ওই মামলায় মেহেদী ও তার বাবা ফজলুল বারী এবং নিমগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলীকে আসামি করা হয়।পুলিশ আজাহার আলীকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠান। ইউপি চেয়ারম্যান জামিনে মুক্ত হয়ে এক সপ্তাহ আগে ওই মেয়ে ও মেহেদী হাসানের বিয়ে সম্পন্ন করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধুনট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে আদালত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


শর্টলিংকঃ