পাবনায় চলছে ৭ সিনেমার সমান এক চলচ্চিত্র


ইউএনভি ডেস্ক:

সাধারণত একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য হয় তিন ঘণ্টা। তবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা আশরাফ শিশির এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যে চলচ্চিত্রটির ব্যপ্তি প্রায় ২১ ঘণ্টা। সাধারণ চলচ্চিত্রের ৭ গুণ ব্যপ্তির এ চলচ্চিত্র অবশেষে প্রদর্শিত হচ্ছে পাবনার রূপকথা সিনেমা হলে।

পাবনায় চলছে ৭ সিনেমার সমান এক চলচ্চিত্র

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশরাফ শিশির নিজেই। তিনি জানান, তার নির্মিত ‌‘আমরা একটি সিনেমা বানাবো’ সিনেমাটি আজ সকাল ৯টা থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে পাবনায়। প্রথম শো শেষ হবে আজ রাত ১২টায়। আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় শো শুরু হবে। প্রয়োজনীয় বিরতি দিয়ে ২১ ঘণ্টার সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পাবনা ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম. ফজলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন রূপকথা সিনেমা লিমিটেড ও ইউনিভার্সাল গ্রুপের কর্ণধার ড. সোহানি হোসেন, পরিচালক আশরাফ শিশির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা ফিল্ম সোসাইটির প্রধান সমন্বয়ক খালেদ হোসেন পরাগ। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রদর্শিত হচ্ছে বলে জানান শিশির।

পরিচালক আশরাফ শিশির জানান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য চলচ্চিত্রটি আটটি চ্যাপ্টার বা অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চলচ্চিত্রটির প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় যেগুলোর দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট এবং ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের সেন্সর করা হয়েছে। তার আগে ২১ ঘণ্টার চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দেওয়া হয়।

সম্পূর্ণ সাদাকালোয় নির্মিত চলচ্চিত্রটির কাহিনি গড়ে উঠেছে এমন এক জনপদকে ঘিরে, যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে কয়েকজন নিষ্পাপ মানুষের সিনেমা নিয়ে বিপ্লবী হয়ে ওঠা, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুমনা সোমা, স্বাধীন খসরু, মাসুম আজিজ, প্রাণ রায়, আয়শা মুক্তি, তেরেসা চৈতি, এলিনা শাম্মী, অরণ্য রানা, দুখু সুমন, জান্নাত সোমা, ইমরান, স্মরণ, সৈকত, ইয়াসিন, টিটো, সানসি, অর্নব, লিজা, মানিক, সজীব, নূপুর, সুজয়, রাব্বী, উজ্জ্বল, দীপ, সাদ্দাম, তুয়া, তুর্য, মাঈশা, মিমো, সুপ্ত, বিশাল, মিন্টু, মানিক, লিটন, শুভ, অলক, ভাস্কর, সম্রাট, আজাদসহ চার হাজার শিল্পী। চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রাফায়েত নেওয়াজ ও সম্পাদনা করেছেন সাব্বীর মাহমুদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, সমর ঢালী ও সাব্বির। প্রধান শিল্প নির্দেশক সলিল মজুমদার।


শর্টলিংকঃ