পাবনায় পদ্মা নদী থেকে কুমির আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:

পাবনা জেলার সদর উপজেলার ভাড়ারার পদ্মা নদী থেকে একটি বিশাল আকারের কুমির আটক করেছে স্থানীয় জেলেরা। মঙ্গলবার বিকেলে ভাড়ারা ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে আটক করেন তারা। পরে রাজশাহী বন বিভাগের লোকজন কুমিরটি নিয়ে যায়।

পাবনা থেকে উদ্ধারকৃত কুমির

স্থানীয়রা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে পানির সঙ্গে ভেসে আসা কুমিরটি পদ্মা নদীতে পানি শুকিয়ে গেলে নদীটির কোলে আটকা পড়ে কুমিরটি। বেশ কিছুদিন ধরে ওই কোলে কুমিরটির অবস্থান বুঝতে পারে স্থানীয় কৃষক ও জেলেরা। পরে আজ বিকেলে স্থানীয় লোকজন জালে কুমিরটি আটকে রেখে বন বিভাগে খবর দিলে উদ্ধার করা কুমিরটি তারা নিয়ে যায়। কুমিরটি দৈর্ঘ্য আনুমানিক আট ফিট লম্বা।

এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, প্রায় ৭/৮ ফুট লম্বা কুমিরটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় শুকিয়ে খালে পরিণত হওয়া পদ্মার নদীর কোলের পানিতে। কুমিরের ভয়ে নদী তীরে কৃষিকাজ বিশেষ করে গরু গোসল করানো বন্ধ করে দেন গ্রামবাসী।

স্থানীয় জেলে আবু সুফিয়ান বলেন, কুমিরটি কখনো নদীতে ভেসে ওঠে, তবে পাড়ে উঠতে দেখি নাই কখনো। গত সপ্তাহে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গেলে কুমিরের বিষয়টি বুঝতে পারি। হাতের বৈঠা দিয়ে কুমিরটিকে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে কোনোমতে ফিরে আসি।

স্থানীয়দের ধারণা কুমিরটি খুবই ক্ষুধার্ত, তাই প্রচন্ড হিংস্র আচরণ করে। তবে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও এলাকাবাসী ভয়ে রয়েছেন সেখানে আরো কুমির আছে কিনা।

পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, স্থানীয় লোকজন পদ্মানদীর চারপাশে জেগে ওঠা চরে আটকা পরে কুমিরটি। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে বলে আমি বন বিভাগে খবর দিলে তারা এসে কুমিরটি নিয়ে যায়। তবে কুমিরটি দেখতে শতশত লোকজন ভিড় করে।

রাজশাহী ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড কনজারভেশন বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্পেক্টর জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিলুপ্ত প্রায় সাধুপানির এই কুমিরটি। আমরা নিয়ে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। তারা আমাদের যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলেও জানান এই কর্মকর্ত।


শর্টলিংকঃ