পিলখানা ট্র্যাজেডি : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় আজ


ইউএনভি ডেস্ক:

পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর) আজ সকাল ১০টায় প্রকাশ করবেন হাইকোর্ট। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত এ মামলার ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশের অপেক্ষায়।

বিডিআর বিদ্রোহ

রায়ের একটি অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির ফাঁসির আদেশ সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের তিন বিচারকের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের তিন বিচারপতি ইতোমধ্যে রায় লেখা সম্পন্ন করেছেন। তবে মঙ্গলবার রায় প্রকাশের বিষয়ে বিচারপতিরা মিলে এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। প্রায় ২৯ হাজার পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায় ইতোমধ্যে ভুলত্রুটি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়েছে।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেছিলেন, পিলখানায় বহুল আলোচিত বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রস্তুতি এখনও চলছে। এরপর তিনি আবার জানান, প্রায় দুই বছর আগে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবারই প্রকাশ হতে পারে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে জানান, হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতিদের দুই বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষর করেছেন। অপর বিচারপতির স্বাক্ষরের পরপরই রায় প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, বিশ্বে আলোচিত মামলাগুলোর মধ্যে আসামির দিক থেকে এবং রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা বিবেচনায় সবচেয়ে বড় মামলা এটি। বিচারিক আদালতে রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে রায়ও ঘোষণা হয়েছে। দীর্ঘদিন দেশি-বিদেশি মামলার রায় পর্যালোচনার পর হাইকোর্টের রায় লেখা শেষ করা হয়েছে। এখন বৃহত্তর বেঞ্চের তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর পর পর দুদিনে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্ট রায়ে ১৩৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হবে।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মো. শওকত হোসেন মূল রায় লিখেছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পৃষ্ঠার রায় লিখে বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতির কাছে পাঠান। এরপর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী পৃথকভাবে তার অংশ লেখেন। তিনিও প্রায় ১৬ হাজার পৃষ্ঠা লিখেছেন। এই দুই বিচারপতির সম্মিলিত রায় প্রায় ২৮ হাজার পৃষ্ঠা। এরপর বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার লিখেছেন ১১শ পৃষ্ঠা। সব মিলে ২৯ হাজার পৃষ্ঠার ওপরে রায় চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করা হবে।


শর্টলিংকঃ