পুঠিয়ায় পৌরসভার ড্রেন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার অধীনে পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের ঢালাই কাজ কাদা পানির মিশ্রণে চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পৌর প্রকৌশলীর রহস্যজনক নীরবতা ও অবহেলার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে। যার কারণে ওই কাজের গুনগত মান ও স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ঠরা নানা প্রশ্ন তুলছেন


পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পৌর এলাকার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে ড্রেন নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। আবহাওয়া ও জলবাযু অধিদপ্তরের অধিনে এই কাজে বরাদ্দ দেয় এক কোটি টাকা। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ২৯৭ মিটার। এবং প্রস্ত ও উচ্চতা দুই মিটার। নাটোর জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোলাপ কন্সষ্ট্রাকশন ড্রেন নির্মাণ কাজটি করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা সদরের পৌরসভার ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন দীর্ঘদিন থেকে জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছেন। যা মালেক মাষ্টারের বাড়ি থেকে মূসাখাঁ নদী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করলে এই জলাবদ্ধতার অবসান ঘটবে। সে মোতাবেক পৌরসভা সম্প্রতি রহস্যজনক ভাবে ওই ড্রেন নির্মাণের কাজ এই এলাকার মধ্যাংশে শুরু করেছেন। এরফলে ওই স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে তেমন একটা কাজে আসবে না। তার ওপর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ঠিকাদার বর্ষার পানি ও কাদার মধ্যে যত্রতত্র ভাবে দায়সারা ঢালাই কাজ করছে। এতে ওই কাজের স্থায়ীত্ব হবে না বলে অনেকই আশঙ্কা করছেন।

পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলেছুর রহমান রাজু বলেন, বর্ষা মৌসুমে এই ওয়ার্ডে ব্যাপক জলাবদ্ধতা হয়। তাই পানি নিস্কাশনের জন্য এ বছর ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। বরাদ্দের অর্থে প্রায় তিনশ’ মিটার পাকা ড্রেনের কাজ হবে। এরপর মূসাখাঁ নদী পর্যন্ত পৌরসভার অর্থে শুধু পানি যাওয়ার মত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই সকল কাজের মধ্যে ঠিকাদার কোনো অনিয়ম করছে কিনা তা দেখার দ্বায়িত্ব পৌর প্রকৌশলীর।
এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সাধারনত কোনো ঢালাই কাজের প্রায় এক ঘন্টা পর থেকে সিমেন্ট বালি জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং তা পুরোপুরি জমাট হতে প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। তার ওপর কাদা পানিযুক্ত অবস্থায় ঢালাই করলে ওই কাজের গুনগত মান নষ্ট হয়। পাশাপাশি ওই কাজ ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ড্রেন নির্মাণের শুরু থেকে কাজটির শতভাগ গুনগত মান ঠিক রাখতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। তবে যদি কোনো রকম অনিয়ম হয় তবে আমি সে কাজ ওই ঠিকাদারের মাধ্যমে পূণরায় করিয়ে নিব। আর প্রকৌশলী যদি কাজে কোনো রকম অবহেলা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ