পুঠিয়ায় রহস্যজনক কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে ট্রাক ড্রাইভার হত্যা মামলা


পুঠিয়া প্রতিনিধি :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় রহস্যজনক কারণে চাঞ্চল্যকর ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে হত্যা মামলা ঝিমিয়ে পড়েছে। ভূক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকান্ডের ঘটনা ও মামলা দায়েরের ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও মুল আসামীদের আটক করতে পারেননি থানা পুলিশ। এতে করে ভূক্তভোগি পরিবার এই মামলায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।


নিহতের স্ত্রী ও হত্যা মামলার বাদী নারগিস বেগম বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ। পরিবারে ৫জন সদস্যের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার স্বামী। আমার স্বামী মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে মারা যায়। পরে ওই রাতেই পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে ৫ জনকে আটক করেছেন।

পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ আটককৃত ৫ জনকে এই হত্যা মামলার আসামী করে জেল-হাজতে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে পুলিশ আর কোনো আসামীকে আটক করতে পারেননি। এই অবস্থায় পরবর্তিতে মামলায় আমি সঠিক বিচার পাবো কিনা তা বলতে পারছি না।

নিহতের প্রতিবেশী পুঠিয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি আবু বকর বলেন, ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে হত্যার বিচার চায় তার পরিবার। অথচ কথিত শ্রমিক নেতারা একটি মাধ্যমে মীমাংসা করার পায়তারা করছেন। অপরদিকে মামলার তদারকি নিয়ে থানা পুলিশের ভূমিকাও রহস্যজনক। এতে ভূক্তভোগি পরিবার সঠিক বিচার পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাশমত আলী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত বা আসামীদের আটকের বিষয়ে কোনো গাফিলতি করা হচ্ছে না। আমরা নিয়মিত অজ্ঞাতনামা আসামীদের সনাক্ত করণ ও তালিকাভূক্ত আসামীদের আটকের বিষয়ে তৎপর রয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে আবু তালেব মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে পুঠিয়া সদরের দিকে আসছিল। পথে তাহেরপুর এলাকায় আসামাত্র ট্রাকের চাপায় ছাগল মারা যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ২০/২৫ জনের একটি দল মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকটিকে ধাওয়া করে পুঠিয়ার বাসুপাড়া এলাকায় আটক করে। সে সময় হেলপার পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও তারা ট্রাক চালক আবু তালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রাক চালক আবু তালেবকে মুমূর্ষ অবস্থায় পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ওই রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত ট্রাক চালকের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে ও আরো অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৫ জনকে আটক করেছে।


শর্টলিংকঃ