পুঠিয়ায় রেকর্ড পরিমান জমিতে পাট চাষ


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে পাট বোপন করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম কম থাকায় দফায় দফায় লোকসানের মূখে পড়েছিলেন স্থানীয় চাষীরা। গত দু’বছর থেকে বাজারে পাটের চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় সোনালী আঁশ পাট চাষে ঝুকেছেন অনেক চাষী।

পুঠিয়ায় রেকর্ড পরিমান জমিতে পাট চাষ

অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবার পাটের বাম্পার ফলন আশা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউপি এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে পাট বোপন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৬০ হেক্টর বেশি জমি।

আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৭০ মে.টন। স্থানীয় কৃষকরা এবার ও-৯৮৯৭, জিআরও ৫২৪ জাতের পাট বীজ বেশী বোপন করেছেন। তাছাড়া ভারত থেকে আমদানীকৃত চাকা মার্কা জাতের পাটও অনেকই চাষ করেছেন।

তারাপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, কৃষি উপকরণর দিনমজুরের খরচ ও বীজ বোপন থেকে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মত খরচ হয়।

গত কয়েক বছর যাবত পাট বোপন করে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে দু’বছর থেকে বাজারে পাটের চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এবার অনেকেই পাট চাষে এগিয়ে এসেছেন। সিরাজুল ইসলাম নামে অপর একজন চাষী বলেন, আমি গত ১৫ দিন আগে পাট বীজ বুনে ছিলাম।

কিন্তু বীজের গুনগত মান সম্পন্ন না হওয়ায় অর্ধেকেরও কম চারা গজিয়েছে। যার ফলে আবারো জমি চাষ করে নতুন ভাবে বীজ বোপন করতে হয়েছে। সময়মত সঠিক পরিচর্যা ও বিছা-মাকড়সা রোধ করতে পারলে এবার পাটের ফলন অনেক বেড়ে যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূইয়া বলেন, বিগত বছর গুলোতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চল সময়মত বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছিল। তাছাড়া বাজারে পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক চাষীরা পাট কম বোপন করেছেন।

বর্তমানে পাটের চাহিদার পাশাপাশি দামও অনেক ভালো। যার কারনে পাট চাষে অনেক কৃষক এগিয়ে এসেছেন। অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করলে এবং সঠিত পরিচর্যা করতে পারলে এবার পাটের বাম্পার ফলন হবে।


শর্টলিংকঃ