প্রাচীন তুলার সন্ধান পেলেন রাবির গবেষক দল


নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের দক্ষিণ উপকূলের জেলা বাগেরহাটে মিসরের প্রাচীন একটি তুলার জাতের সন্ধান পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। মসলিন তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় গবেষণা করতে গিয়ে বাগেরহাটের একটি গ্রামে এ তুলার সন্ধান পান তারা।

অনন্য এবং একমাত্র তুলাটি দেশের অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না বলে জানান প্রকল্পের গবেষণা প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন।

তুলাটির নাম, গসিপিয়াম বারবাডেন্স বা Gossypium Barbadence. তুলাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যাপক মনজুর হোসেন বলেন, ফলের (বল) আকার বড়, তুলার আঁশ লম্বা, মাজ উন্নত, উৎপাদনও বেশি।

তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সাধক খানজাহান আলী (র.) ১৪ শতকের সমসাময়িককালে এ দেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আসার সময় তুলার জাতটি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।

আর ইরাকের মসুল শহরে প্রচুর পরিমাণ তুলার চাষ হতো। এ অঞ্চলে মসলিন কাপড় যারা তৈরি করেছেন, তাদের অধিকাংশই মসুলের লোক। সেই জাতের একটি জাত হয়তো থেকে গেছে।

এর আগে গবেষকদের তুলাটি সম্পর্কে সন্ধান দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে বাগেরহাটের ওই গ্রাম থেকে তুলার জাতটি সংগ্রহ করা হয়। তবে গ্রামটির নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।

তুলার নমুনা সংগ্রহকালে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রাবির ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আলম, গবেষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক মনজুর হোসেন আরও বলেন, তুলাটি এত উন্নত যে, সেটি দিয়ে তৈরি কাপড় সাধারণত উন্নত বিশ্বের পাঁচ তারকা হোটেলের বিছানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ তুলা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রাচীন কয়েকটি তুলার সন্ধান পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ