ফরাশগঞ্জের ত্রাস যখন আব্বাস


ইউএনভি ডেস্ক:

আব্বাস এই শহরে ২০ বছর যাবত ঘুমায় না। তাহলে আব্বাস করেটা কী? কিন্তু যতবার ভোর হতে দেখা গেল ততবারই উনাকে স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে জেগে উঠতে দেখা গেছে (একবার ব্যতীত)।হয়তো পরিচালক রূপকার্থে বিষয়টা বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু ১০/১২ বছরের একটা ছেলে মায়ের বাসর রাতে মায়ের সঙ্গেই ঘুমাতে যাবে ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না!

মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে না পেরে বন্ধুর সঙ্গে চলে যায় এলাকার মাস্তান টাইপ এক লোকের কাছে; যার ছত্রছায়ায় একসময় আব্বাস হয়ে উঠেন এলাকার ত্রাস।পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, নায়ক-নায়িকার এন্ট্রি, হালকা কমেডি, কিছু অ্যাকশন দৃশ্য, নাচ-গান। অবশেষে আদালতের ৩০২ ধারা ব্যস হয়ে গেল একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা।

সহজভাবে বললে এটাই ছিল গল্পের প্লট, এটাই ছিল আব্বাসের ত্রাসের রাজত্ব। পরিচালক সাইফ চন্দন দক্ষিণ ভারতের ঢংয়ে গল্পটা বলতে চেয়েছেন ব্যাপারটা ইতিবাচক কিন্তু বাজেটটা যে তার স্বল্প সেটাও মাথায় রাখা উচিত ছিল।সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ খুঁজতে যাওয়া দর্শক হিসেবে খুব বেশি চাওয়া নয় কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ পরিচালক।

গল্পে খাপছাড়া ভাব স্পষ্ট লক্ষণীয়। অথচ যত্ন নিলে গল্পটা হতে পারতো বেশ উপভোগ্য ও বিনোদনমূলক। ছবির নায়ক নিরবের লুকটা ছিল যথেষ্ট ভাল। চরিত্রের সঙ্গে একদম পারফেক্ট লুক।

নিরব নাচ এবং ফাইটে দুর্বল হলেও আব্বাস মুভিতে অভিনয়ে যথেষ্ট ভাল করেছেন। মাসালা মুভিতে সোহানা সাবার প্রথম আবির্ভাব গাঢ় মেকাপ দিয়ে একদম প্রলেপ দিয়ে দেয়া হয়েছে।

চরিত্র ও ক্যামেরার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ন্যাচারাল বিউটিফিকেশনের ব্যাপারটা হয়তো আমাদের এফডিসি ঘরানার মেকাপ আর্টিস্টগণ এখনো রপ্ত করতে পারেননি।

পারলে সোহানা সাবাদের মত অভিনেত্রীদের ক্লোজআপ শট দেখলে মেজাজ হট হত না। খল চরিত্রে জয়রাজ নিজের জাত চিনিয়েছেন আলেকজান্ডার বো নিজের পরিপক্বতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন।

মুভির গানগুলো ছিল দৃষ্টিনন্দন এবং শ্রুতিমধুর বিশেষ করে শেষের গানটি তো ছিল ওয়ানটেক শটের। এরকম এক্সপেরিমেন্টের জন্য পরিচালক বাহবা পেতেই পারেন।মোটকথা, আপনি যদি বাংলাদেশী সিনেমার পোকা হয়ে থাকেন তাহলে দেখতে পারেন মুভিটি। ভাল লাগা কিংবা না লাগা পুরোটাই আপনার মর্জির উপর বর্তাবে।

 


শর্টলিংকঃ