ফের পশ্চিমবঙ্গে মোদীর সফর


ইউএনভি ডেস্ক:

দুর্নীতি ইস্যুতে ফের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির কাওয়াখালির এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আগের বাম সরকার, আর এখনকার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কেউই আপনাদের দিকে নজরই দেয়নি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আপনাদের বিনামূল্যে যে রেশন দিচ্ছে, কংগ্রেস, তৃণমূল বা বামেরা তার বিরোধিতা করছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিবাজ তৃণমূল সরকার দলিত, গরিব, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের রেশনেও দুর্নীতি করছে। এদের নেতা-মন্ত্রীরা রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছে। আয়ুষ্মান যোজনা নামে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করেছে। কিন্তু এই রাজ্য সরকার তা এখানে চালু করতে চায় না।

সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সন্দেশখালিতে গরিব, আদিবাসী, দলিত নারীদের ওপর তৃণমূলের নেতারা কি কি করেছে এটা নিয়ে গোটা দেশে আলোচনা চলছে। আসলে নারীদের ওপর অত্যাচার এবং গরিবদের অর্থ লুটে নেওয়াটাই তৃণমূলের লোকজনের কাজ।

তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেদের মতো ইন্ডিয়া জোটের দলগুলো উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ভেদাভেদ তৈরি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ মোদীর। তবে তার সরকার যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে কাজ করছে সে কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে বিজেপির কেন্দ্র সরকারের একটা স্পষ্ট রোড ম্যাপ আছে। এই কারণে এখানে জরুরি পরিষেবা চালু করার চেষ্টা চলছে। এখানে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে বিজেপি সরকার।

কেন্দ্রে ফের একবার বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়ে মোদী বলেন, চারিদিকে আওয়াজ হচ্ছে, আব কি বার, ৪০০ পার। তার অভিমত, দলিত বিরোধী, গরীব বিরোধী তৃণমূলকে হটানোর কাজটা লোকসভা থেকেই শুরু করতে হবে। এ কারণে উত্তরবঙ্গের সব লোকসভা আসন, প্রত্যেকটা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটাতে হবে।

মোদী বলেন, এখানে এসে আমি মিনি ভারতের দর্শন পাই। এখানকার মতো বৈচিত্র দেশের খুব কম জায়গায় রয়েছে।

দলীয় সভার আগে শিলিগুড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদী। সেখানে কয়েক হাজার কোটি রুপির বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পথ দিয়েই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ কারণে গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার ছিল। এই কথা মাথায় রেখেই একলাখি-বালুরঘাট শাখা, রানিনগর জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি শাখা, বারসোই-রাধিকাপুর শাখার মধ্যে রেললাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাধিকাপুর থেকে শিলিগুড়ির নতুন প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে।

এসময় মোদী বলেন, এখন উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশেও রেল সংযোগ শুরু হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ছাউনি পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেস চলছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে আমরা রাধিকাপুর পর্যন্ত রেল সংযোগ বৃদ্ধি করেছি। এই সংযোগ বৃদ্ধির ফলে দুদেশের অর্থব্যবস্থা ও পর্যটন ব্যবস্থায় সুফল আসবে।


শর্টলিংকঃ