সৌদি আরবে খেজুরের দাম কত?


ইউএনভি ডেস্ক:

এ বছর রমজান মাস আসার আগেই সৌদি আরবে বাড়তে শুরু করেছে খেজুরের দাম। সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও চাহিদা বাড়ার কারণে দেশটিতে খেঁজুরের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণেই নয়, সৌদি আরবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা সামাজিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগের কারণে রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। খেজুর দিয়ে ইফতার করা মহানবী (স)-এর সুন্নতও।

এসব কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে খেজুরের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তবে রমজান উপলক্ষে খেজুরের বিপুল সরবরাহ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সৌদি আরবের দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খেজুর বিক্রি হয়। এর মধ্যে খালাস, সুক্কারি, রুথানা, বারহি, আল-সাকি, আল-সাফারি খেজুরের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।

সৌদি প্রেস এজেন্সির খবর অনুসারে, জেদ্দায় প্রতি কেজি সাফাভি খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে ২০ রিয়ালে (৫৮৪ টাকা প্রায়)। আল-সাকি খেঁজুর পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ রিয়ালে (৭৩০ টাকা প্রায়) এবং আজওয়া খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ রিয়ালে (২ হাজার ৪৬ টাকা প্রায়)।

এছাড়া, এক বাক্স কাঁচা খেজুর পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ রিয়ালে। আল-আহসার খালাস খেজুর মিলছে ৬০ রিয়ালে এবং আল-কাসিমের খালাস খেজুর পাওয়া যাচ্ছে ১২০ রিয়ালে।

রমজান মাসে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো সৌদি আরবেও খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশটিতে বছরের প্রায় ৪০ শতাংশ খেজুরের ব্যবহার হয় এই মাসে। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি সৌদি আরব প্রচুর পরিমাণে খেজুর রপ্তানিও করে।

জানা যায়, সৌদিতে প্রতি বছর আনুমানিক ১৫ লাখ টন খেজুর উৎপাদিত হয়। ২০২২ সালে দেশটি ১২০ কোটি সৌদি রিয়ালের খেজুর রপ্তানি করেছিল, যা আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে তাদের খেজুর রপ্তানি আরও ১৪ শতাংশ বেড়ে ১৪০ কোটি রিয়ালে পৌঁছায়।

বর্তমানে বিশ্বের ১১৯টি দেশে খেজুর রপ্তানি করে সৌদি আরব।


শর্টলিংকঃ