বাঘায় বন্ধ হলো অবৈধ টোল আদায়


বাঘা সংবাদাদাতা:

চাঁদা না দেয়ায় রাজশাহীর বাঘায় পিকনিকের গাড়ি ভাঙচুর ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৮ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর অবশেষে সকল টোল আদায়ের চাঁদা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘা পৌর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আয়োজিত সভায় পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, নারী কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বাঘা উপজেলার আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা চারটি বাসে গোলালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। তারা বুধবার রাত ১২টার দিকে বাঘা পৌর এলাকায় পৌঁছলে পৌরসভার টোল আদায়কারীরা গাড়ি পথরোধ করে।

এ সময় তাদের কাছে গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং গাড়ি আটকে রাখে তারা। পরে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়ি উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে চাঁদা আদায়কারীরা পালিয়ে যায়।

বাঘা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা জাসদ (ইনু-শিরিন) সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিউর রহমান শফি বলেন, টোল আদায় শুধু বন্ধ করলেই হবে না। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবে না।

বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, পৌরসভা থেকে বালুর গাড়ি, ভটভটি, বড় ট্রাক থেকে টোল আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। টাকা না পেয়ে গাড়ি ভাঙচুর করাটা দুঃখজনক। তবে এ ঘটনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পৌর এলাকায় চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস জানান, আমাদের পিকনিকের গাড়ি টুঙ্গিপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। বাঘা পৌরসভার এলাকায় পৌছলে হঠাৎ পথে গাড়ি থেকে যায়। নেমে দেখি ডাইভারের সঙ্গে চাঁদা আদায়কারীর বাগবিতন্ডা হচ্ছে। একপর্যায়ে আমার উপস্থিতিতে গাড়ির কাচ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, পিকনিকের গাড়িতে চাঁদা দাবি করে ভাঙচুর করে আটকে দিয়েছিল। এ সময় খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বিদায় করে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহিন রেজা বলেন, এলাকায় চাঁদায় আদায় বন্ধের বিষয়ে মাইকিং করা হয়। এরপর কেউ চাঁদা তুললে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে যারা পিকনিকের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিনিধি/আ.

 


শর্টলিংকঃ