বড় সফলতা নেই পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের


পুঠিয়া প্রতিনিধি:
পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক উদ্ধারে সফলতা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স জারি করায় বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক দ্রব্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে সফলতা দেখালেও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ রাজশাহী খ সার্কেল অফিসের বড় কোন সফলতা নেই বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুঠিয়া খ সার্কেল অফিস, গত মে মাসে উদ্ধার মধ্যে রয়েছে, ফেনসিডিল ২৩০ বোতল, ইয়াবা ৩০ পিস, চোলাই মদ ৫ লিটার এবং ৫জন গাঁজা সেবনকারী ও ৩ জন হেরোইন সেবনকারীকে আটক করেছে। জুন মাসে উদ্ধার করেছে, ইয়াবা ২০০ পিস, ফেনসিডিল ৫ বোতল ও হেরোইন ৮ গ্রাম এবং হেরোইন সেবনে দায়ে ৭ জনকে আটক করেছে।

পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সার্কেল অফিস পুঠিয়া উপজেলা ছাড়াও চারঘাট উপজেলা, বাগমারা উপজেলা, বাঘা উপজেলা ও দুর্গাপুর উপজেলায় কাজ করছে। এই ৫টি উপজেলায় তাদের মাদক দ্রব্য উদ্ধারের চিত্র দেখে এলাকার সচেতন মহল হতাশ হয়ে পড়েছেন। এতে করে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

তবে পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের ইন্সপেক্টর মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অভিযানের সফলতার জন্য তাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে চোলাই মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে নৃগোষ্ঠী (ডোম, চাঁড়াল) পল্লীতে চলে চোলই মদের ব্যবসা। এই সব নৃগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব ভাবে উদ্ভাবিত চোলই মদ নিজেদের ব্যাবহারের আইনগত নির্দেশনা থাকার সুযোগে তার এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদেরকে মাঝে মধ্যে আইনের আওতায় আনলেও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ১১/২ ধারা মোতাবেক তারা সুবিধা পেয়ে থাকে বলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুঠিয়া সার্কেল অফিসের ইনেসপেক্টর অভিযোগ করেন। এব্যাপারে পুঠিয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ খ সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর মোস্তফা জামান তার কাজে অবহেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের লোকবল সংকট, নিজস্ব যানবাহ না থাকায় এবং নিরস্ত্র ভাবে কাজ করায় মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনেক সময় আইন প্রয়োগে অসুবিধায় পড়তে হয়।


শর্টলিংকঃ