ভারতের অভ্যন্তরে ৪০০ মিটার জলসীমা করিডোর পেতে প্রস্তাব


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের অভ্যন্তরে ৪০০ মিটার জলসীমা থাকায় রাজশাহীর চরখানপুরবাসী দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। পদ্মা নদীতে এ ৪০০ মিটার জলসীমার কারণে চরখানপুরবাসীকে ১৩ কিলোমিটার ঘুরে রাজশাহীতে যেতে হয়।তাই ওই ৪০০ মিটার জলসীমাকে আমরা করিডর হিসেবে পেতে চাই। সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে এ প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রস্তাবটি ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।


বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ ও বিজিবি দিবস ২০২০ উপলক্ষে সারা দেশে সীমান্তের প্রান্তিক জেলেদের মধ্যে ১০০ জন মাঝির মধ্যে ১০০টি নৌকা বিতরণ করেছে বিজিবি।

মঙ্গলবার মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম রাজশাহীর টি-বাঁধ এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদীর পারে হতদরিদ্র ২৫ জন মাঝি ও ২৫ জন জেলের মধ্যে ২৫টি নৌকা, নৌকার পাল, গেঞ্জি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।

এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিজিবি রিজিয়ন সদর দফতর রংপুরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কায়সার হাসান মালিক, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ, রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদসহ রাজশাহী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ডিসি কাশিয়াডাঙ্গা, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে বিজিবির উদ্যোগে বিভিন্ন রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ইছামতি নদীপারের মাঝিদের মাঝে নৌকা, নৌকার পাল, গেঞ্জি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ‘শত নৌকায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বিজিবি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শতবর্ষের সমার্থক হিসেবে ১০০টি নৌকা প্রান্তিক জেলেদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে দেয়া হল।

প্রান্তিক জেলেরা দাদন নিয়ে জাল কেনেন, নৌকা কেনেন। এরপর মাছ ধরেন। মাছ বিক্রি করে যে টাকা পান তার একটি বড় অংশ মহাজনদের পকেটে চলে যায়। তাই জেলেদের সহায়তা করার জন্য নৌকা বিতরণ করা হল।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা যে ১০০টি নৌকা বিতরণ করলাম, এর তাৎপর্য অনেক। যাদের জাল নেই, আগামী দিনে তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জালও বিতরণ করা হবে। শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন বলে জানান বিজিবি ডিজি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমাদের কোনো জেলে যদি বাংলাদেশের নৌ-সীমানা অতিক্রম না করে, তাহলে কেউ তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারবে না।

ভারত কেবল আমাদের জেলেদেরই ধরছে না, আমরাও মাঝেমধ্যে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় জেলেদের গ্রেফতার করছি। আমরা সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, ওপার থেকে আমাদের দেশে ইয়াবা প্রবেশ করছে। গরুর পেটে, নারীর স্পর্শকাতর স্থানের মাধ্যমেও ইয়াবা আসছে। সুপারির ভেতর, ডলারের নিচে প্রতাপে মুড়িয়ে ইয়াবা আসছে। পর্যায়ক্রমে বিজিবিতে নারী সদস্য বাড়ানো হবে।


শর্টলিংকঃ