ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন আবেদন হবে যেভাবে (ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ‘প্র্যাকটিস ডাইরেকশন’ অনুসরণ করেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের চেম্বারজজ ও হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এছাড়া আইনজীবীদের ভার্চুয়াল আদালত ব্যবহারের বিষয়ে ‘আমার আদালত: ভার্চুয়াল কোর্টরুম ব্যবহার ম্যানুয়াল’ নামে আলাদা একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

Virtual Court BD

এই ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য এরইমধ্যে একটি ওয়েবপোর্টাল চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কার্টের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আবেদন ও শুনানি সবই হবে এ পোর্টালের মাধ্যমে। ইমেইলে শুনানির সময় জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠানো হচ্ছে আইনজীবীকে। এসএমএসে দেয়া হবে অ্যালার্ট। নির্দিষ্ট সময়ে বিচারক ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী যুক্ত হন ভিডিও কনফারেন্সে। শুরুতে এ পদ্ধতিতে শুধু জামিন আবেদন দাখিল, শুনানি ও বেইল বন্ড দাখিলের সুযোগ পান আইনজীবীরা। পরে অন্যান্য বিচারিক কার্যক্রমও পরিচালনার সুযোগ সেখানে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে আদালতের প্রায় সব কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকার ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। তারই আলোকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রোববার ভার্চুয়াল আদালতের ‘প্র্যাকটিস ডাইরেকশন’ নির্ধারণ করে দেন। গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর তিনটি আলাদা আদেশের মাধ্যমে এই ‘প্র্যাকটিস’ নির্দেশনা সবাইকে জানিয়ে দেন।

ভার্চুয়াল আদালতে বাদী/বিবাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য একজন আইনজীবীকে নিজের নাম, ছবি, ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ও অন্যান্য কাজটি হবে ভার্চুয়াল আদালতের ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আইনজীবী ভার্চুয়াল কোর্ট পোর্টালে ঢুকতে পারবেন। সেখানে জামিন আবেদন ও বেইল বন্ড দাখিল সংক্রান্ত দুটি ঘর থাকবে। কোনো আইনজীবী জামিন আবেদন করতে চাইলে জামিন সংক্রান্ত ঘরে প্রবেশ করে মূল জামিন আবেদন, ওকালতনামা ও সংযুক্ত নথিপত্র পৃথক তিন ধাপে আপলোড করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো আবেদন ফি লাগবে না।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের দাবি হাইকোর্টে আবেদন করার পর যে কোনো মামলার নথি ২৪ ঘণ্টা আগে আমাদের রাষ্ট্রপক্ষের নির্ধারিত আইনজীবীর হাতে পৌঁছাতে হবে। এই মামলাটি যখন শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করা হবে তার ৪-৫ ঘণ্টা আগে তাদের (রাষ্ট্রপক্ষের) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের (অ্যাটর্নি কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে) আইনজীবীকে জানাতে হবে।

ভিডিওতে দেখুন বিস্তারিত 


শর্টলিংকঃ