ভুল আসামি জাহালম: জাহালম: পাবেন কিনা জানা যাবে আজ


নিরীহ পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুলের ওপর আজ বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ বেলা দুইটায় রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি রায়ের জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু সকালে বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবারও উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। এরপর আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হাসান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। পরে সাংবাদিকদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত পক্ষগুলোর বক্তব্য শোনেন। এরপর বুধবার বেলা ২টায় রায়ের জন্য রাখেন।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান জানতে চান, আসল আসামি আবু সালেক এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? দুদকের আইনজীবী তখন বলেন, আশা করি সে ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে। শুনেছি সে ভারতে চলে গেছে। তবে সীমান্তে জানানো আছে। ভারতেও জানানো আছে। কোভিডের কারণে কিছু দেরি হয়েছে। আশা করি ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে। দুদক এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি শেষ হয়নি কেন- তাও জানতে চান বিচারক।

জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, কোভিড সিচুয়েশনের কারণে এমন হয়েছে। তবে সব প্রসিডিংস শেষের দিকে। খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, দুদকের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা আগে ঘটেনি। আশা করি ভবিষ্যতে এ রকম আর ঘটবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। সর্বোপরি আদালত যে রায় দেবেন সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব।

তখন বিচারক বলেন, জাহালম যে কারাভোগ করেছেন সেটাকে যদি ফলস ইমপ্রিজনমেন্টও (মিথ্যা কারাবাস) বলি, তাহলে তো সে তার ফ্রিডম থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাহলে বলুন এক্ষেত্রে জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা।

জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, হ্যাঁ, জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু সে ক্ষতিপূরণ আমাদের জন্য (দুদকের) হবে না। সেটা হবে ব্যাংকের জন্য। কারণ ব্যাংক যেসব নথি দিয়েছে, সেসব নথির সূত্র ধরে দুদক তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। তাই দায় ব্যাংককে নিতে হবে।

জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা একই প্রশ্ন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীর কাছেও রাখেন বিচারক। তখন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, দুদক আইনজীবীর বক্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’।

দুদক একবার বলছে, জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, আবার বলছেন এতে দুদকের দায় নেই, ক্ষতিপূরণ দুদক দেবে না। আবার বলছেন ব্যাংকের কথা। ব্যাংক কিন্তু জাহালমের নাম কোথাও বলেনি। দুদক আবু সালেহের পর ‘ওরফে’ দিয়ে জাহালমের নাম যুক্ত করেছে।

তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, আমি আমার বক্তব্যে বিভ্রান্তিকর কিছু উপস্থাপন করিনি। আদালতের কাছে আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। এ পর্যায়ে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, তাহলে কেন সোনালী ব্যাংক তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল? তখন আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে তাদের অবহেলার কারণে।

এখানে জাহালম ইস্যুতে ব্যাংকের কোনো দায় নেই। তাই ক্ষতিপূরণ সোনালী ব্যাংকের ওপর বর্তায় না। তবে আমি মনে করি জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এরপর বলেন, ঠিক আছে, আপনাদের বক্তব্য শুনলাম। কাল দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে টাঙ্গাইলের জাহালমকে কাটাতে হয়।

এ বিষয়ে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেটি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।নিরীহ পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুলের ওপর আজ বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ বেলা দুইটায় রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি রায়ের জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু সকালে বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবারও উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। এরপর আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হাসান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। পরে সাংবাদিকদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত পক্ষগুলোর বক্তব্য শোনেন। এরপর বুধবার বেলা ২টায় রায়ের জন্য রাখেন।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান জানতে চান, আসল আসামি আবু সালেক এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? দুদকের আইনজীবী তখন বলেন, আশা করি সে ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে। শুনেছি সে ভারতে চলে গেছে। তবে সীমান্তে জানানো আছে। ভারতেও জানানো আছে। কোভিডের কারণে কিছু দেরি হয়েছে। আশা করি ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে।

দুদক এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি শেষ হয়নি কেন- তাও জানতে চান বিচারক।

জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, কোভিড সিচুয়েশনের কারণে এমন হয়েছে। তবে সব প্রসিডিংস শেষের দিকে। খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, দুদকের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা আগে ঘটেনি। আশা করি ভবিষ্যতে এ রকম আর ঘটবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। সর্বোপরি আদালত যে রায় দেবেন সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব।

তখন বিচারক বলেন, জাহালম যে কারাভোগ করেছেন সেটাকে যদি ফলস ইমপ্রিজনমেন্টও (মিথ্যা কারাবাস) বলি, তাহলে তো সে তার ফ্রিডম থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাহলে বলুন এক্ষেত্রে জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা।

জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, হ্যাঁ, জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু সে ক্ষতিপূরণ আমাদের জন্য (দুদকের) হবে না। সেটা হবে ব্যাংকের জন্য। কারণ ব্যাংক যেসব নথি দিয়েছে, সেসব নথির সূত্র ধরে দুদক তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। তাই দায় ব্যাংককে নিতে হবে।

জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা একই প্রশ্ন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীর কাছেও রাখেন বিচারক। তখন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, দুদক আইনজীবীর বক্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’।

দুদক একবার বলছে, জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, আবার বলছেন এতে দুদকের দায় নেই, ক্ষতিপূরণ দুদক দেবে না। আবার বলছেন ব্যাংকের কথা। ব্যাংক কিন্তু জাহালমের নাম কোথাও বলেনি। দুদক আবু সালেহের পর ‘ওরফে’ দিয়ে জাহালমের নাম যুক্ত করেছে।

তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, আমি আমার বক্তব্যে বিভ্রান্তিকর কিছু উপস্থাপন করিনি। আদালতের কাছে আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। এ পর্যায়ে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, তাহলে কেন সোনালী ব্যাংক তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল? তখন আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে তাদের অবহেলার কারণে।

এখানে জাহালম ইস্যুতে ব্যাংকের কোনো দায় নেই। তাই ক্ষতিপূরণ সোনালী ব্যাংকের ওপর বর্তায় না। তবে আমি মনে করি জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এরপর বলেন, ঠিক আছে, আপনাদের বক্তব্য শুনলাম। কাল দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে টাঙ্গাইলের জাহালমকে কাটাতে হয়।

এ বিষয়ে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেটি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।নিরীহ পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুলের ওপর আজ বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ বেলা দুইটায় রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি রায়ের জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু সকালে বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবারও উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন। এরপর আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জাকির হোসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী আনিসুল হাসান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। পরে সাংবাদিকদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত পক্ষগুলোর বক্তব্য শোনেন। এরপর বুধবার বেলা ২টায় রায়ের জন্য রাখেন।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিচারপতি এফ আর নাজমুল আহসান জানতে চান, আসল আসামি আবু সালেক এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? দুদকের আইনজীবী তখন বলেন, আশা করি সে ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে। শুনেছি সে ভারতে চলে গেছে। তবে সীমান্তে জানানো আছে। ভারতেও জানানো আছে। কোভিডের কারণে কিছু দেরি হয়েছে। আশা করি ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসবে।

দুদক এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি শেষ হয়নি কেন- তাও জানতে চান বিচারক।

জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, কোভিড সিচুয়েশনের কারণে এমন হয়েছে। তবে সব প্রসিডিংস শেষের দিকে। খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, দুদকের ইতিহাসে এ রকম ঘটনা আগে ঘটেনি। আশা করি ভবিষ্যতে এ রকম আর ঘটবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। সর্বোপরি আদালত যে রায় দেবেন সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব।

তখন বিচারক বলেন, জাহালম যে কারাভোগ করেছেন সেটাকে যদি ফলস ইমপ্রিজনমেন্টও (মিথ্যা কারাবাস) বলি, তাহলে তো সে তার ফ্রিডম থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাহলে বলুন এক্ষেত্রে জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা।

জবাবে খুরশীদ আলম বলেন, হ্যাঁ, জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু সে ক্ষতিপূরণ আমাদের জন্য (দুদকের) হবে না। সেটা হবে ব্যাংকের জন্য। কারণ ব্যাংক যেসব নথি দিয়েছে, সেসব নথির সূত্র ধরে দুদক তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। তাই দায় ব্যাংককে নিতে হবে।

জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন কিনা একই প্রশ্ন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীর কাছেও রাখেন বিচারক। তখন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, দুদক আইনজীবীর বক্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’।

দুদক একবার বলছে, জাহালম ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, আবার বলছেন এতে দুদকের দায় নেই, ক্ষতিপূরণ দুদক দেবে না। আবার বলছেন ব্যাংকের কথা। ব্যাংক কিন্তু জাহালমের নাম কোথাও বলেনি। দুদক আবু সালেহের পর ‘ওরফে’ দিয়ে জাহালমের নাম যুক্ত করেছে।

তখন দুদকের আইনজীবী বলেন, আমি আমার বক্তব্যে বিভ্রান্তিকর কিছু উপস্থাপন করিনি। আদালতের কাছে আমাদের যুক্তি তুলে ধরেছি। এ পর্যায়ে সোনালী ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, তাহলে কেন সোনালী ব্যাংক তার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল? তখন আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে তাদের অবহেলার কারণে।

এখানে জাহালম ইস্যুতে ব্যাংকের কোনো দায় নেই। তাই ক্ষতিপূরণ সোনালী ব্যাংকের ওপর বর্তায় না। তবে আমি মনে করি জাহালম ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এরপর বলেন, ঠিক আছে, আপনাদের বক্তব্য শুনলাম। কাল দুপুর ২টায় রায় ঘোষণা।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে টাঙ্গাইলের জাহালমকে কাটাতে হয়।

এ বিষয়ে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেটি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।


শর্টলিংকঃ