যৌনকর্মীদের সুরক্ষায় ত্রাণের দাবি লাইট হাউজের


নিজস্ব প্রতিবেদক :

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, যৌনকর্মীরা আদর্শ জীবনধারণ করে না। তাদের জীবনযাত্রার মান; খাদ্য অভ্যাস, এবং সুন্দর দেখানোর জন্য, খদ্দেরকে আকৃষ্ট করতে স্টেরয়েড ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ঔষধ ব্যবহারের মতো অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিক; হাঁপানি, জরায়ু ক্যান্সার, এইচআইভিসহ বিভিন্ন যৌন বাহিত রোগে তারা ভুগতে থাকে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যৌনকর্মীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কেমন আছেন, সংকটকালে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন, মানুষ হিসেবে মানবাধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য বাস্তব অবস্থা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন  করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লাইট হাউজ।

রোববার ঢাকার বনানী কার্যালয় থেকে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লাইট হাউজের প্রধান নির্বাহী মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, দেশজুড়ে কার্যত লকডাউনের পর থেকে যৌনপল্লীসহ রাস্তা, বাসা ও হোটেল ভিত্তিক নারী যৌনকর্মী এবং পাশাপাশি পুরুষ ও হিজড়া যৌনকর্মীদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

এ প্রেক্ষিতে যৌনকর্মীরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। যেসব যৌনপল্লী ত্রাণ পাচ্ছে সেখানেও যৌনপল্লীর অভ্যন্তরে প্রভাবশালীদের জন্য ত্রাণের সুষম বন্টন হচ্ছে না। যৌনকর্মীরা যেন কোন প্রকার ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং ত্রাণের সুষম বন্টন নিশ্চিত করার জন্য সকলের সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এসময় সেক্সওয়ার্কার নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার লিলি বক্তব্য রাখেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, যৌনকর্মীরা আদর্শ জীবনধারণ করে না। তাদের জীবনযাত্রার মান; খাদ্য অভ্যাস, এবং সুন্দর দেখানোর জন্য, খদ্দেরকে আকৃষ্ট করতে স্টেরয়েড ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ঔষধ ব্যবহারের মতো অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিক; হাঁপানি, জরায়ু ক্যান্সার, এইচআইভিসহ বিভিন্ন যৌন বাহিত রোগে তারা ভুগতে থাকে। এসবের ফলে চূড়ান্তভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়া তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

উল্লেখ্য, ১১টি যৌনপল্লীর মধ্যে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর একজন যৌনকর্মী গত ২৪ এপ্রিল কোভিড ১৯ সংক্রমনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি কোভিড ১৯ পজেটিভ বলে জানা যায়। তার মৃত্যুর পর তার আশেপাশের ঘরসমূহ লকডাউন করা হয়। এখনো পর্যন্ত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীসহ অন্য কোন যৌনপল্লীতে নতুন কোন সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার পর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নতুন কারো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।


শর্টলিংকঃ