রাজশাহীতে আমের মৌসুম শুরু হলেও জমে উঠেনি কেনা-বেচা


আবু হাসাদ,পুঠিয়া:

রাজশাহীর বাগানগুলো থেকে ভেসে আসছে আম পাকার সুমিষ্টি ঘ্রাণ। মধুময় সুবাস ছড়িয়ে যাচ্ছে আশে পাশের এলাকাগুলোতে। মধু মাস জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিনে আম পাড়ার উপর থেকে কেটেছে আইনি জটিলতা। আমের প্রকার ভেদে দিনক্ষন নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে আম পাড়া শুরুর ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি বেচা-কেনা শুরু হয়নি এখনো।

তবে আমচাষি ও ব্যবসায়িরা বলছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে জমে উঠবে আমের বাজার। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে নতুন ও পুরাতন মিলে উপজেলায় মোট সাড়ে ৮শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

ওই বাগান গুলো থেকে গত মৌসুমে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৫০ মে. টন। এবং উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মে. টন আম। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বেশীর ভাগ গাছ গুলোতে আম এসেছে।

শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে জেলার সর্ববৃহৎ আমের বাজার বানেশ্বর কাচারি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকার গুটি জাতীয় আম চাষিরা সল্প পরিসরে নিয়ে এসেছেন। তাই কেনা-বেচাও চলছে একটু ঢিলেঢালা।

এর মধ্যে গত ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রানী প্রসাদ ও লক্ষণ ভোগ, ২৮ মে হিমসাগর বা খিরসাপাত আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রতিমণ গুটি জাতীয় আম প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। আর গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ১৩শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা দরে। তবে বাজার জমে না ওঠায় রাণী প্রসাদ, লক্ষণভোগ, খিরসাপাত আম পাড়া শুরু করেনি চাষিরা।

আমপাড়ার মৌসুম শুরু থেকে উপজেলার বিড়ালদহ বাজার, বেলপুকুর, শাহবাজপুর, শিবপুরহাট এলাকা গুলোতেও অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠেছে আমের বাজার। আম আড়ৎদার রফিকুল ইসলাম বলেন, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, বাঘা, চারঘাট, নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাগান মালিকরা আম বিক্রি করতে আসেন বানেশ্বর হাটে।

তবে অনেক চাষিরা দর দেখতে স্বল্প পরিসরে আম নিয়ে আসছেন বাজারে। যার কারণে এ বছর এখনো পুরোপুরি আমের বাজার জমে উঠেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান বলেন, আম আড়ৎ গুলোতে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পেলে তৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া কোন আম কখন পাড়তে হবে তার একটি দিক নির্দেশনা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জেলা প্রশাসক এক সভায় স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ মে থেকে আর্টি জাতীয় আম পাড়া শুরু হয়েছে। গোপালভোগ আগামী ২০ মে, রানী প্রসাদ ও লক্ষণ ভোগ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আমরুপালি ও ফজলি ১৫ জুন এবং আশ্বিনা আমপাড়া শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে।


শর্টলিংকঃ