রাজশাহীতে চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা যুবকের মরদেহ উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ভোরে ইউপি ভবনের একটি কক্ষ থেকে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায়  মরদেহটি ঝুলছিল। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

মৃত যুবকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (৩০)। সে হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে ১০-১২ দিন আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন।  পেশায় সে  ভ্যানচালক। তবে তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামে। বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।

হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল রোববার সকালে ইউনিভার্সালনিউজকে জানান,  ১২দিন বিয়ে মোফাজ্জলের বিয়ে হয় নলপুকুর গ্রামের রফিকুলের মেয়ের সাথে। দু’দিন আগে মোফাজ্জল স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন।কিন্তু সে মাদকাসক্ত হওয়ায় মেয়েটি তার সাথে সংসার করতে আপত্তি জানায়। এনিয়ে মীমাংসার জন্য উভয় এলাকারই চেয়ারম্যানকে খবর দেয়া হয়। রোববার দুইপক্ষের লোকজনদের নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়ে মিমাংসায় বসার কথা ছিল।

মুুঞ্জিল চেয়ারম্যান বলেন, শনিবার রাতে মোফাজ্জল হোসেনকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে চৌকিদার পাহারায় রাখা হয়। রাতে চৌকিদার পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল। আর মোফাজ্জলকে অন্যকক্ষে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সবার অজান্তে মোফাজ্জল লেপের কভার ছিঁড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এদিকে রোববার ভোররাতে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ জানালা দিয়ে মোফাজ্জলের ঝুলন্ত লাশ দেখে তাকে খবর দেন। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, জানালায় লেপের একটি ছেঁড়া অংশ গলায় পেঁচানো অবস্থায় মোফাজ্জলের লাশ ঝুলছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও লাশ নামান নি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে লাশ নামাবেন। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না। তবে মোফাজ্জলের পরিবার যেভাবে চান সেভাবেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ