রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা


রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের উপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। সে সঙ্গে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এতে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত ১৪ জুলাই বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক-আল-জালিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়।

হাইকোর্ট পাঠানো এই আদেশ থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যে নীতিমালা ছিল, সেই নীতিমালা বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বে এসে পরিবর্তন করে। নতুন নীতিমালায় স্নাতকে সিজিপিএ কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম এবং গত ৭ জুলাই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে গত ১৪ জুলাই শুনানির রায় ঘোষণা করা হয়।

তবে হাইকোর্ট থেকে পাঠানো কোনো নোটিশ এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক অধ্যাপক শাহীন জোহরা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের আমলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭টি শূণ্য পদের বিপরীতে সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিমালা অনুসারে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫০ থাকা আবশ্যক করা হয়। তখন সে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে আদালত সে বিজ্ঞপ্তিকে বৈধ ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান নিয়োগের যোগ্যতা শিথিল করে স্নাতক পর্যায়ে সিজিপিএ ৩ দশমিক ২৫ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ দশমিক ৫০ করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগের বিজ্ঞপ্তিকে বাতিল করে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন নীতিমালায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম। এতে রাষ্ট্রপতি দফতরের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির তিন অধ্যাপককে বিবাদী করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ