রাবি ছাত্র সামিরকে ল্যাপটপ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় পা হারানো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মো. সামির উদ্দিনকে ল্যাপটপ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি সামিরের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।

রাবির পা হারানো শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

রাজশাহীস্থ নাটোর জেলার ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক সামিরকে ল্যাপটপ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর- ৩ আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস, কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জার্জিস কাদির, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শহীদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস প্রমূখ।

জানা যায়, সামির উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাইফুল ইসলামের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কয়েক দিন পরই সামিরের বাম পায়ে লাগানো কৃত্রিম পা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে।

কিন্তু তাঁর দিনমজুর বাবার পক্ষে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন পা সংযোজন করা সম্ভব হচ্ছিল। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তা নজরে আসে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবান মানুষের।

নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির র‌্যালি

গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দীন তাকে এক লাখ টাকা অনুদান দেন। রাজশাহীর সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অব দি প্যারালাইজডের সহযোগিতার কৃত্রিম নতুন পা সংযোজন করা হয়।

ল্যাপটপ পাওয়ার শুক্রবার সন্ধ্যায় সামির উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আমাকে পড়াশোনা করে দেশকে এগিয়ে নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনেপ্রাণে ধারণ করতে বলেছেন। একইসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে তাঁর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।’

সামির উদ্দিন জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ট্রাক্টরের নিচে পড়ে তিনি বাম পা হারান। পরে পায়ে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। কয়েক বছর পর পর কৃত্রিম পা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে, নতুন করে সংযোজনের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি, শিক্ষকদের সহায়তা আর নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এসেছেন।


শর্টলিংকঃ