রাবি ভিসির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’, আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের নিন্দা


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদ। সোমবার (২৭ মে) সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) পরিষদের সভাপতি মো. রাব্বেল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হাসিন আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের জরুরি সভায় উপাচার্যকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে, সদস্যরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সদস্যরা বলেন- ২০০৭ সালে ১/১১ এর সময়ে দেশের গণতন্ত্রের দুঃসময়ে কারাবরণ করা একজন বুদ্ধিজীবী এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।

সভায় কর্মকর্তারা অধ্যাপক সোবহানের বিরুদ্ধে যে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে, তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশের সুস্পষ্ট লংঘন বলে মত দেন। তারা বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। রাবি আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদ রাবি উপাচার্যের পাশে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় অবস্থান করবে।

সভায় বক্তৃতা করেন রাবি আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সহ-সভাপতি মো. মোক্তাদির হোসেন রাহী, সেলিনা খান সাথী, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ মিশফাক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, আইন সম্পাদক মো. মিন্টু জোয়ার্দ্দার হাবিব, দপ্তর সম্পাদক মো. মোকলেছুর রহমান এবং প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমীন।

এছাড়া সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ড. মো. গোলাম মোস্তফা, কামরুল বাহার আরিফ, মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মো. আব্দুল কাদের ও ডা. রাজু আহমেদ প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক আব্দুস সোবহান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বেচ্ছাঅবসর গ্রহণের প্রায় দেড় বছর পর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলে সাবেক একজন শিক্ষার্থী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণের পর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ এবং অন্য কোনো আইনে বাধা নেই বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা।


শর্টলিংকঃ