রাবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা


বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দাঙ্গাবাজ ও পরধন লোভীর অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুলাহ ইবনে মনোয়ার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা।

 

মামলার অন্য আসামীরা হলেন,  মো. আকাশ, মো.সাদ্দাম হোসেন, ইমরান আলী, মাহাদুর রহমান কানন, মেহেদী হাসান বিজয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বাদী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্থ গোদাগাড়ী বাগানের আম ও লিচু ফল চলতি মৌসুমসহ (২০১৯-২০২০) জন্য এক লক্ষ একান্ন হাজার নয়শত নিরানব্বই টাকা দশ পয়সা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে লিজ গ্রহণ করেন। তবে লিজ থাকা কালীন দায়ের করা মামলার আসামীগনসহ ১৫/২০ জন গত ৭ মে ২০১৯ রাত আটটার দিকে গোদাগাড়ী বাগানে অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্রসহ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, আগামী দুই দিনের ভিতর টাকা দিতে না পারলে বাগানের আম ও লিচু পাড়তে দিবে না এমন হুমকি দেয়। এর দুই দিন পরে ৯ মে বিকাল ৪টার দিকে বাগানের লিচু পাড়তে থাকে তারা। এ সময় তারা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার লিচু চুরি করে নেয়। লিচু পাড়তে বাধা দিলে মামলার ১ নম্বর আসামী গোলাম কিবরিয়া বাগানের পাহারাদের কিল-ঘুষি মারেন। পরে ভয়ে পাহারাদার বাগান থেকে সরে যান। এছাড়াও আসামীগন এখনো চাঁদাবাজির হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে মতিহার থানায় মামলা করতে গেলে তাঁরা আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন।

এদিকে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের আম ও লিচু পাড়ার অধিকার একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর আছে। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে লিচু পেড়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। তাই এই মামলটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।


শর্টলিংকঃ