রামেকের করোনা ল্যাব ইনচার্জের মা ও ছেলে সংক্রমিত


নিজস্ব প্রতিবেদক :

এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাব ইনচার্জ শামীম আখতারের মা ও ছেলে করোন শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার পরীক্ষার পর তাদের নমুনায় পজিটিভ ধরা পড়ে। শামীম রাজশাহীতে থাকেন। তবে তার মা ও ছেলে থাকেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। এই অবস্থায় ল্যাব ইনচার্জ শামীমকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের করোনা ল্যাব

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, শুক্রবার মোট ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দুইজনের মধ্যে শামীমের ১২ বছর বয়সী ছেলের রিপোর্ট বৃহস্পতিবারই পজিটিভ আসে।

উপসর্গ দেখা দেয়ায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে শুক্রবার আবারও পরীক্ষা করা হয়। এদিনে শামিমের মায়েরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারও রিপোর্ট আসে পজিটিভ। শামীমের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার সাবেরা গুলনাহার বলেন, শামিম রাজশাহী শহরেই থাকেন। আর তার পরিবার থাকেন নাচোলে। তিনি প্রতি সপ্তাহে গ্রামের বাড়ি যেতেন। শামিমেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ। তার স্ত্রীর রিপোর্টও নেগেটিভ। কিন্তু তার মা এবং ছেলের করোনা পজিটিভ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানিয়েছেন, ল্যাবে কর্মরত চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্টসহ সংশ্লিষ্ট সবারই নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১৫।

রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলাগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে নওগাঁয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে জয়পুরহাটে। বগুড়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৩০ জন। গত চার দিন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে। এ পর্যন্ত রাজশাহীতে ১৭ জন, নাটোরে ১০ জন, পাবনায় ১৩ জন এবং সিরাজগঞ্জে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন মুক্তি পাচ্ছে রাজশাহী কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদি


শর্টলিংকঃ