রাশিয়ার তেল শোধনাগারে দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা ইউক্রেইনের


ইউএনভি ডেস্ক:

রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেইন। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি রাশিয়ার জ্বালানি খাতে ইউক্রেইনের চালানো সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ।

বুধবারের এ হামলায় রাশিয়ার তেল কোম্পানি রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এতে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে অংশত এমন আশঙ্কায় তেলের মূল্য ২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টায় এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগেরদিন মঙ্গলবার নিজনি নভগোরোদে রাশিয়ার বহুজাতিক তেল কোম্পানি লুকোয়েলের একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় ড্রোন। এতে তেল শোধনাগারটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেইনের ড্রোনগুলো বুধবার রোস্তভ ও রাইয়াজান অঞ্চলের তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

মস্কো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রাইয়াজানে এক ড্রোনের হামলায় রোজনেফতের বৃহত্তম শোধনাগারে আগুন ধরে যায়। এটি রাশিয়ার সপ্তম বৃহত্তম তেল শোধনাগার।রাইয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভের মালকভ জানিয়েছেন, আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, তবে হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত দুই রুশ নাগরিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার পর তেল শোধনাগারটি তাদের দু’টি তেল শোধন ইউনিট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের জানানো অনুরোধে রোজনেফত সাড়া দেয়নি।রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ জানান, সেখানে কোনো হতাহতের ঘটেনি, কিন্তু হামলার পর নভোশাখটিনস্ক শোধনাগার উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরে শোধনাগারটিতে উৎপাদন ফের শুরু হয় বলে জানা গেছে।

ইউক্রেইনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেইনের এসবিইউ গোয়েন্দা সংস্থা ড্রোন হামলাগুলো পরিচালনা করেছে।

বুধবার প্রকাশিত মন্তব্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ১৫-১৭ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টায় কিইভ এসব হামলা চালাচ্ছে।


শর্টলিংকঃ