শুধু একটি নয়, রাজশাহীর ৫টি আসনেই নৌকার বিপক্ষে ছিলেন লিটন: বাদশা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী ২ আসনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা দাবী করেছেন শুধু একটি নয় রাজশাহীর পাঁচটি আসনে নৌকার বিপক্ষে ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৃহস্পতিবার (১৮ই জনুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানান ফজল হোসেন বাদশা। এর প্রমাণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচনের পুরোটা সময় রাজশাহীতে অবস্থান করলেও জেলার ৬ আসনের একটি বাদে বাকি ৫টি আসনে একটিবারের জন্যও নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে যাননি লিটন।

ফজলে হোসেন বাদশা

ওই বিবৃতিতে তিনি আরো দাবী করেছেন, খায়রুজ্জামান লিটন কোনো একটি বিশেষ কারণে ১৪ দলীয় জোটে ভাঙন ধরাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনো করছেন। এর অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

দলীয় প্যাডে ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাদশা বলেন, ‌‘বৃহস্পতিবার রাজশাহী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী ঘোষিত এমপির পক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে আমাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে যা তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা।

আমি নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে কোনো ধরনের প্রচেষ্টার মধ্যে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।বরং নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার অভিযোগসমূহ বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি, যা প্রার্থী হিসেবে আমার অধিকার ও আইনগতভাবে সঙ্গত কর্তব্য। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নাকি নৌকার পক্ষে ছিলেন। এই তথ্যটি যে সর্বৈব মিথ্যা, তা রাজশাহীবাসী জানে। বরং তিনি নিজের দলীয় প্রতীকের বাইরে গিয়ে কাঁচি প্রতীকের পক্ষে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন, যার প্রভূত প্রমাণ হাতে আছে।

প্রয়োজন অনুযায়ী, যেগুলো উপস্থাপন করা সম্ভব। এছাড়া, শুধু রাজশাহী-২ নয়, জেলার ৬টি নির্বাচনি আসনে একটি বাদে বাকি ৫টিতেই তিনি নৌকার প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন, যার প্রমাণও স্ব স্ব প্রার্থীদের কাছে রয়েছে। এবং এ কারণেই তিনি পুরো সময় রাজশাহীতে অবস্থান করে একটিমাত্র আসন ছাড়া বাকি ৫টির একটি আসনেও নৌকার পক্ষে ভোট চাননি। এমনকি ন্যূনতম কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেননি।

আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, লিটন ১৪ দলের বৈঠকে নৌকাকে কোনো সমর্থন দেননি। উল্টো ১৪ দলের মিটিং স্থগিত করেন। পরে আর সেই মিটিং হয়নি। তাহলে তিনি কিভাবে সমর্থন দিলেন?

এই নির্বাচনে তিনি ও তার নেতৃত্বে সিটি করপোরেশন যা করেছে তা নিয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্টভাবে লিখিত দিয়েছি নির্বাচন কমিশনকে। তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

আমি আরো বলতে চাই, এই বিরোধিতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং লিটন কোনো একটি বিশেষ কারণে ১৪ দলীয় জোটে ভাঙন ধরাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনো করছেন। এর অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে।

আমি ১৪ দলের শরিক হিসেবে আহ্বান জানাই, আগামীর প্রগতিশীল রাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই অপতৎপরতার উদ্দেশ্য, এর সঙ্গে আরো কারা কারা কীভাবে জড়িত তা শিগগির জোট খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিক। ’

 

আরও পড়তে পারেন লিটনের নাম ব্যবহার ছিলো নির্বাচনী কৌশল: দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে


শর্টলিংকঃ